গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিনের (আগাম জমা) শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকার আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং অন্যান্য মোটরকারের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে করোনাকালীন সময়ে বিলাসী পণ্যে আমদানি কমাতে গাড়ি আমদানিতে শতভাগ মার্জিনের শর্তারোপ করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের পরিবহন মাধ্যম ঘনবসতিপূর্ণ দেশে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও বায়ুর গুণমান সূচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকার আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং অন্যান্য মোটরকারের (সেডানকার, এইউভি, এমপিভি ইত্যাদি) আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশনায়। এটি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হতে কার্যকর হবে।
গত বুধবার গাড়ি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে একটি গাড়ি কিনতে ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারতো, এখন তা বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে। একটি গাড়ির দামের কত শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে, সেই সীমা বিশেষ করে হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য বিবেচনায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে গাড়ির দামের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারতো, এখন গাড়ির দামের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
ইএআর/এমএএইচ/জেআইএম