২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই মাসে ছিল ৩ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
Advertisement
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং উক্ত সময় আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার যা আগের বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
ডিসেম্বর মাসে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
Advertisement
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি আয়ের চিত্র২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ থেকে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ২৬৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২১৭ মিলিয়ন।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা গত বছর ছিল ৫২৩ মিলিয়ন ডলার।
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।
Advertisement
পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং আয় হয়েছে ৪১৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের ১২২ মিলিয়নের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
চামড়ার জুতা রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে এবং ৩৫৩২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৭০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু চামড়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের ১৮২ মিলিয়ন ডলারের বিপরীতে এ খাত আয় করেছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার।
কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, যা ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এই উদীয়মান খাত আয় করেছে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।
হোম টেক্সটাইল খাতে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৪১১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৮১ মিলিয়ন ডলার।
যা বলছেন রপ্তানিকারকরাস্নোটেক্সট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মূলত বিশ্বব্যাপী পোশাক ক্রেতারা চীন থেকে তাদের ক্রয় স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে। এবং তারা সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে। অন্যদিকে, ক্রেতারাও তাদের কাজের আদেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করছে, এটি বৃদ্ধির আরেকটি কারণ ‘
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, কাজের আদেশ প্রবাহ ভালো হওয়ায় আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো নতুন মজুরি জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। যদি মজুরি বৃদ্ধি নির্মাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যবসা করার খরচ বাড়ায় তবে এটি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারে ক্রিসমাস ডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, নিউ ইয়ারে পোশাকপণ্যের চাহিদা বাড়ে। ফলে এ সময়ে বেশি পণ্যের জাহাজীকরণ হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে রপ্তানি বাড়ে। তবে আশার কথা হলো এবছর কাজের আদেশ বেশি আছে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যার জন্য দরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।’
আইএইচও/এএসএ/জিকেএস