খুলনায় ২০২৪ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল তীব্র। এই এক বছরে দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসরকারি হাসপাতালেও চলেছে ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসা।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত খুলনায় ১৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। আগস্টের পর থেকেই মূলত ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। পরের চার মাসে খুলনায় প্রায় ১২০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।
৩১ ডিসেম্বর পাওয়া তথ্যমতে, খুলনায় গত বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৩৩ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
এরমধ্যে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে খুলনায় ডেঙ্গুর কারণে অতিরিক্ত চাহিদায় আইভি স্যালাইনের সংকট দেখা দেয়। ওই সময় সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্যালাইনের সরবরাহ ছিল কম। ফলে বাড়তি দাম দিয়ে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হয়েছে রোগীদের। ৮৭ টাকার স্যালাইন ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এরমধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ৩ হাজার লিটার স্যালাইন এলেও চিকিৎসাধীন থাকা রোগীর তুলনায় তা ছিল খুবই সামান্য।
Advertisement
অন্যদিকে, মশক নিধনে সে সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের কার্যকর ভূমিকা ছিল না। জনবহুল স্থানে জনসচেতনতায় কয়েকদিন মাইকিং করলেও ফগার মেশিন বা অন্যান্য মাধ্যমে মশক নিধনে তেমন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, এখন জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কমেছে। ফলে হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তিও কমেছে।
মো.আরিফুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement