তোমায় দিয়ে আর হবে না
Advertisement
ছেড়ে দাও, সরে যাও—তোমায় দিয়ে আর হবে নাতুমি রক্তখেকো মহান নরখাদক, ছি ছি করে লোক
তুমি অন্ধ রাজা, তোমার কোনো চোখ নেইনেই চোখের কোনো আলো—তুমি এক অটিস্টিক এক্ষুণি হাতে নাও লাকিস্টিক, শান্তির টান দাওতুমি মহান নির্বাক—চুপ হয়ে যাও, আর কোনো কথা না
ছেড়ে দাও, সরে যাও—তোমায় দিয়ে আর হবে নাতুমি দীর্ঘশ্বাস বাড়ানো দরদী, শোকের সুতীব্র স্রোতস্বিনীডুবে যাও, অগভীর ঘৃণ্যজলের কোনো গহীনেকোনো অশ্রুপাত করো না—অশ্রুজলের মানেই বোঝ না
Advertisement
তুমি বড়ই পাষণ্ড, ঠক, জোচ্চর এক মহা হৃদয়হীনারক্তের মানে বোঝ না, নরক বানালে স্বজনেরতুমি লেখক জেনেছি—রচনা করলে লাল শোককাব্যকেউ পড়ে না এমন কাব্য! ডিসোপ্যান টু না-ও
ছেড়ে দাও, সরে যাও—তোমায় দিয়ে আর হবে নালোকে শান্তি চায়—তোমার প্রশান্তি ঘুমে, পারলে ঘুমিয়ে যাও...
****
কুসুম, অহিংস বিনাশের চক্রধারী দলে
Advertisement
কতটা সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছো তুমি বলে যাও—সময় নিয়ে কিছুটা বলে যাও, তাড়াহুড়োর দরকার নেইতাড়াহুড়োতে কেবলই সম্ভাবনার সন্তান বেজন্মা হয়;বুঝতে কোনো অসুবিধে হবে না, চোখ-কান মুখ খোলা রাখলেই নিশ্চিত করে বুঝতে পারবে কবিতার ভাষা—সবে বিগত হওয়া চব্বিশ সালটা বড্ড বেশি বেপরোয়া:চব্বিশ সংখ্যাটির পিতা ইজ্জতভ্রষ্ট নষ্টালজিক নাগরিকলাজলজ্জার গুষ্ঠি কেলিয়ে বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে...
এখানে অক্সিজেন আটকে রাখার পায়তারা চলছেবাতাসের দেহ ক্লান্ত; ভার বইতে পারছে না ইন্টারনেটসন্দেশে নীলচক্ষুর সুনজর—সাধুরা ক্যানিবালিজম!ফ্রেস টয়লেট টিস্যু হোয়াইটে যেন মুখ মুছে নিচ্ছে...সেই মুখে সুখ-শান্তি সমৃদ্ধির ভীষণ বাণী মলত্যাগ করছেশ্রোতা অবশিষ্ট সন্তানরা, উত্তর-প্রজন্ম শিক্ষা পাচ্ছেবদলে যাও বদলে দাও—পরিবর্তন পাপিষ্ঠ পিচাশনীতিমালা নীলনকশার ছোপ; বিশ্ববিবেক স্বীয় বলিদানে।
চব্বিশমুখে মুখোশ পরে সমাসপুর পেরিয়ে ওমগ্রামেক্রিড কাঁদছে ভীষণ, পঁচিশ কী পারবে কাটাতে—ফেলে আসা সে সময়: কাচুমাচু এ নাকাল অসামাল— পঁচিশ তুমি চেয়ো না আর চব্বিশের অশ্রুবন্যার চোখে।
বিস্ময় পৃথিবী নিস্তেজ অক্ষমতার জেন্ডার নিয়ে চলছেপ্রতি মুহূর্তেই জন্ম দিচ্ছে রক্তাক্ত জখম এক পৃথ্বীশিশু—নীরবতা হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতির বাপ-মাকেপঁচিশ সাল এসেছি আমি, জীবপ্রেম দাও বুঝতে আমাকে...
****
প্রত্যাশা রাখি কেন?
কাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সেদিন ভুলে গেছিমনে নেই আর বিশ্বস্তকাল;সরছে সেই আবেগের ডানা, সবদিকে ধূসরতা—শীতরঙের উদারতা আকাল!
ভরাপৌষের যৌবনচাঙা মেরে ঠেলে ওঠেসৃজন সতেজ পানির প্লাবন—পাঠক যতই আমোদ করুক, মধুবনেসেই মৌমাছি বোলতারা হলো গুণ।
সকাল আসে শেষের গায়, পঁচিশ ভ্রমণ তাকায়ঝাপসা গেছে চব্বিশ উল্লাসেদুহাত পেতে এই পঁচিশে: আসবে কি কিছুটা জটিলতা কেটে সারল্য পথে?
এসইউ/এএসএম