দেশজুড়ে

সারাদিন বিড়ি বানিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে মেঘলা

কুড়িগ্রাম শহরের রিভার ভিউ মোড় এলাকার হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রি মোস্তাফিজার রহমানের মেয়ে মাহামুদা আক্তার মেঘলা চলতি বছর কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর এতে অবাক হয়েছে এলাকাবাসী।কারণ মেঘলা সংসারের অভাব দূর করতে মায়ের সঙ্গে সারাদিন বিড়ি শ্রমিকের কাজ করতো। এতে তার দৈনিক আয় হতো গড়ে ২৫/৩০ টাকা।  মেঘলার বাবার সম্পদ বলতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া পৌনে দুই শতক জমি। সেখানেই চালা তুলে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। বড় ভাই তৌহিদ হাসান সৌরভ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে একটি বইয়ের দোকানে সেলসম্যানের চাকরি করে। মেঘলা জানায়, ক্ষুধা যে কী কষ্টের তা বলে বোঝাতে পারবো না। একদিকে পড়ালেখার অদম্য ইচ্ছা। অপর দিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা। এ লড়াই খুব কষ্টের। ইসলাম শিক্ষার পরীক্ষার দিন বাড়িতে খাবার ছিলনা। তার উপর রাত থেকে ছিল প্রচণ্ড জ্বর। না খেয়ে জ্বর নিয়ে পরীক্ষা হলে যাই। প্রচণ্ড অসুস্থ্যতায় কি লিখেছি জানি না। ফলে শুধুমাত্র এ বিষয়ে গোল্ডেন হয়নি। অথচ সব বিষয়ে গোল্ডেন মার্ক পেয়েছি। এ কষ্ট কোনোদিন ভুলতে পারব না। আমি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে চিকিৎসক হতে চাই। চাই মানুষের সেবা করতে। কিন্তু অর্থ সঙ্কট আমার স্বপ্ন পূরণে প্রধান বাধা। নিরুপায় হয়ে অভিভাবকরা বিয়ে দেয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু আমি এই বয়সে বিয়ে করতে চাই না। কেউ কি নেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে? নাজমুল/এমএএস/পিআর

Advertisement