দেশজুড়ে

কক্সবাজারে নাচ-গান ও আতশবাজিতে ২০২৫ বরণ

এ বছরও থার্টিফার্স্ট নাইটে কক্সবাজারে উন্মুক্ত কোনো আয়োজন ছিল না। এরপরও ২০২৪ সালকে বিদায় ও ২০২৫ সালকে বরণ করতে সৈকতের বেলাভূমিতে সমবেত হয়ে নেচে-গেয়ে উল্লাস করেন লাখো পর্যটক।

Advertisement

আর জমজমাট ইনডোর প্রোগ্রামে বর্ষবরণ করে তারকা হোটেলগুলো। গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ গানে নতুন বছরকে স্বাগত জানান হোটেলে অবস্থান করা পর্যটকরা।

ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশ, র্যাব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব বিভাগের সদস্যদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ছিল হোটেল ও সৈকতে। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিজ নিজ উদ্যোগে আতশবাজি, সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে উন্মাদনায় ফেটে পড়েন পর্যটক ও স্থানীয়রা। ৩১ ডিসেম্বর রাতে সমুদ্রসৈকত ও তারকা হোটেলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসে রাত ৮টার পর থেকেই শুরু হয় বছরের শেষদিন উদযাপন। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য রাখা হয় বিভিন্ন আইটেমের খাবার ও পানীয়। শিল্পী কর্ণিয়ার গান, তীরন্দাজ ব্যান্ড ও ডিজের বাজনায় নাচেন হোটেলে অবস্থান করা পর্যটকরা। যোগ দেন বিদেশি পর্যটকরাও।

Advertisement

একই রকম আয়োজন করে সৈকতের অভিজাত হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট, রামাদা, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সি পার্ল হোটেলসহ অন্য আরও একাধিক হোটেল। এছাড়া পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, ইনানীর বেশকিছু রিসোর্টসহ শহরের বাইরে বিভিন্ন হোটেলের ছাদে ভিন্ন আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করা হয়।

থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে আগে থেকে কক্সবাজার এসে অবস্থান নেন লাখো পর্যটক। শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁ, রাস্তাঘাট ও বিপণিকেন্দ্রে দেখা দেয় প্রচণ্ড ভিড়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্লাব, সমিতি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দলবেঁধে আসা এসব পর্যটকের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠে সৈকতের বেলাভূমি ও হোটেল-মোটেল জোন। সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয়রাও।

সৈকত ও আশপাশের এলাকা আলোকসজ্জায় আলোকিত করার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। পর্যটকরা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ, ইনানী, হিমছড়ি, রামু, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, মহেশখালী, সোনাদিয়াসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ান।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে বেড়াতে যাওয়া মোফাজ্জল আহমদ দম্পতি বলেন, গতবছরের মতো এবারও নতুন বছর বরণে যুক্ত হলাম। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ওশান প্যারাডাইস জমজমাট আয়োজনের ব্যবস্থা করে। নেচে-গেয়ে রাত আড়াইটা পর্যন্ত আনন্দ করেছি।

Advertisement

ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বাইরে অনুষ্ঠান না থাকলেও লক্ষাধিক পর্যটক সমাগম হয়েছে। কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট সর্বত্র লোকারণ্য ছিল রাত ৩টা পর্যন্ত। তাদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য বিভাগও নিশ্ছিদ্র পাহারা বসায়। সমানভাবে দায়িত্ব পালন করা হয় ইনডোর প্রোগ্রাম করা তারকা হোটেলেও।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সবার আন্তরিক সহযোগিতায় সুন্দরভাবে বর্ষবরণ হয়েছে কক্সবাজারে। সৈকতে পর্যটকসহ স্থানীয়রা গভীর রাত পর্যন্ত নিজেদের মতো আড্ডা গানে সময় কাটান। শহর ও সৈকতে টহলে ছিল আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।

সায়ীদ আলমগীর/জেডএইচ/এএসএম