দেশে উৎসব করে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয় ২০১০ সালে। বিগত দুই-তিন বছরের মতো এবছরও শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ১ জানুয়ারি উৎসব করে নতুন বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
ফলে নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকার আনন্দ হয়তো তাদের হচ্ছে না। তবে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পুরো সেট বই পাচ্ছে। এরই মধ্যে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার প্রাথামিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রাথমিক ৪র্থ শ্রেণির বইয়ের চাহিদা মোট ৬ হাজার ৮৫০ সেট। ৫ম শ্রেণিতে চাহিদা ৭ হাজার ২৫০ সেট। এছাড়া ১ম শ্রেণিতে মোট চাহিদা ৫ হাজার ৭১০ সেট, ২য় শ্রেণিতে ৬ হাজার ১০০ সেট এবং ৩য় শ্রেণিতে ৬ হাজার ২২০ সেট। যার পুরো সেট বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছার কার্যক্রম চলছে।
আরও পড়ুন১ জানুয়ারি কোন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা কয়টি বই পাবে স্কুলে যাচ্ছে ৬ কোটি পাঠ্যবই, অনলাইনে মিলবে সবউপজেলার হাশিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বাহার বলেন, আমাদের শিক্ষকরা বইয়ের জন্য উপজেলায় গিয়েছেন। তবে যতটুকু জেনেছি ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই দেবে। ৪র্থ ও ৫ম শ্রণির বইয়ের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। যদি বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা বই না পায় তাহলে নতুন বইয়ের উৎসবের যে আনন্দ সেটি থেকে তারা বঞ্চিত হবে।
Advertisement
আবু তাহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, বই এখনো হাতে পাইনি। যদি ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই না পায় সেক্ষেত্রে বছরের শুরুতে তাদের একটু মন খারাপ হবে। তবে বই পাওয়া অবধি আমাদের ক্লাস কার্যক্রম আগের বই দিয়ে চালু থাকবে।
মিরসরাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এসে পৌঁছায়নি। আজ আসবে কি না সেটার নিশ্চয়তা নাই। যদি আসে তাহলে আমাদের জেলা থেকে জানানো হবে। আর এখন না আসলেও আশা করি বছরের প্রথম সপ্তাহের যে কোনো দিন চলে আসবে। এরপর আমরা স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে বই পাঠাতে পারবো।এম মাঈন উদ্দিন/কেএসআর