প্রবাস

পর্তুগালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কমিউনিটিতে বিভক্তি

মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজধানী লিসবনে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। কমিউনিটির একটি অংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আরেকটি অংশকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে।

Advertisement

এ বিষয়ে আয়োজক কমিটির প্রধান রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করার জন্য কমিউনিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই। আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের নিয়ে আমরা আয়োজক কমিটি গঠন করি।’

পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির অপর একটি অংশের মুখপাত্র রাজিব আল মামুন, সাজিদ মোহাম্মদ এবং সোয়েব মিয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আহ্বান সবার কাছে নাও পৌঁছতে পারে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অনুষ্ঠান আয়োজনে কমিউনিটির অন্যান্য নেতাদের আড়াল করা হয়েছে।

অন্যদিকে রাজধানী লিসবনের বাইরের বিভিন্ন শহরগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।

Advertisement

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি এই শহরটিতে বসবাস করেন। পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যানারে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজনে আমরাও অংশগ্রহণ করতে পারতাম। তবে এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আয়োজক কমিটিও লিসবনের বাইরের শহরগুলোতে বসবাসকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

অন্যদিকে আয়োজক কমিটি অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার নাচ-গান না রাখার শর্তে ধর্মীয় একটি দলকে আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে নাচ-গান করার কারণে ধর্মীয় সেই দলটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন। তারা বলছেন, যেহেতু আয়োজক কমিটির প্রধান রানা তসলিম উদ্দিন পর্তুগালে বাংলাদেশিদের প্রধান মসজিদের কমিটির সভাপতি সুতরাং একজন মসজিদের সভাপতি হয়ে নাচ গান আয়োজন করাটা ধর্মীয় রীতিনীতি পরিপন্থি।

সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা বলছেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতির নাচ, গান উপস্থাপন করা দোষের কিছু নয়। এমনকি বাংলাদেশেও বিজয় দিবসের আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কনসার্ট এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখা হয়। সুতরাং এটি বাংলাদেশের জাতীয় অনুষ্ঠানের একটি অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে।

অনুষ্ঠানটি বেলা ১১টায় শুরু হয় সেখানে বিভিন্ন দেশীয় খাবারের স্টল সহকারে নানা ধরনের পণ্যের পসরা সাজানো হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন সহকারে প্রবাসী শিল্পীদের কনসার্টে গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় মিউনিসিপিলিটির কমিশনার, লিসবন বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।

Advertisement

এমআরএম/এএসএম