ঢাকার জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট অবসান হতে যাচ্ছে। নতুন করে চার লাখ ৪০ হাজার টিকিট কেনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
Advertisement
এরই মধ্যে ২০ হাজার টিকিটের চালান হাতে পেয়েছে সংস্থাটি। এসব টিকিট মেট্রো স্টেশনগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বুধবার (১ জানুয়ারি) ভারত থেকে আমদানি করা আরও ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট হাতে পাবে ডিএমটিসিএল। আরও ৩০ হাজার টিকিট আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসবে। এভাবে ধাপে ধাপে তারা চার লাখ ৪০ হাজার টিকিট কিনবে। এতে নতুন করে টিকিট সরবরাহে শিগগিরই সংকট কেটে যাবে।
মেট্রোরেলে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে—একটি এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। র্যাপিড পাস কেনা যাত্রীরা টাকা না শেষ হওয়া পর্যন্ত যেকোনো সময় যাত্রা করতে পারেন। আর একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছার পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক।
Advertisement
একক যাত্রার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি টিকিট মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে ডিএমটিসিএল জানায়, ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো একক যাত্রার টিকিট খোয়া গেছে বা নষ্ট হয়েছে। খোয়া যাওয়া টিকিটগুলো যাত্রীরা ফেরত না দিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেছেন। এসব টিকিট ফেরত দিতে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে ডিএমটিসিএল। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পায়নি। এছাড়া আরও কিছু টিকিট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দুই মাস ধরে উত্তরা থেকে মতিঝিল চলাচলকারী এমআরটি-৬ (মেট্রোরেল) একক যাত্রার টিকিট তীব্র সংকট দেখা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমটিসিএলের এক কর্মকর্তা জানান, জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে মেট্রোরেলের একক যাত্রার চার লাখ নতুন টিকিট কেনা হবে। এর মধ্যে টিকিটের মূল জোগানদাতা জাপান, তবে কার্ডগুলো প্রিন্ট হয় ভারত থেকে।
ডিএমটিসিএলের এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ভারত থেকে ২০ হাজার টিকিট ঢাকায় এসেছে। কাস্টমসের কিছু জটিলতার কারণে তা হাতে পেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কাস্টমসের জটিলতা নিরসন হয়েছে। আশা করি আগামীকাল টিকিটগুলো হাতে পাব। তারপর দ্রুত টিকিটগুলো স্টেশনে সরবরাহ করবো।
এমআরএম
Advertisement