অর্থনীতি

সংস্কারও নয়, পরিবর্তন আনতে হবে: আশিকুর রহমান

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন কিছু নয়। আগে একজনকে চাঁদা দিতে হতো এখন পাঁচ গ্রুপকে দিতে হয়। ‘ক’ এর জায়গায় ‘খ’ কে বসিয়ে দেওয়া সংস্কার নয়, পরিবর্তন আনতে হবে। চেঞ্জ নয়, প্রোগ্রেস দরকার। এই দুটি শব্দ আলাদা। চেঞ্জ হচ্ছে ‘ক’ এর পরিবর্তে ‘খ’ আসা, আর প্রোগ্রেস হচ্ছে পরিবেশ উন্নত করা।

Advertisement

জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইকোনমিস্টস ফোরামের সদস্যসচিব ড. আশিকুর রহমান।

বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশন, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইরি, জাইকাসহ বেশ কয়েক জায়গায় পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন ড. আশিকুর রহমান। অর্থনীতির নানামুখী সংকট ও নতুন বছরে সরকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলাপ করেন এই অর্থনীতি বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সামিউর রহমান সাজ্জাদ।

জাগো নিউজ: ২০২৩ সাল অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল, ২০২৪ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার পর নতুন বছরে অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?

Advertisement

আশিকুর রহমান: মূল চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকখাত সুবিন্যস্ত করা, ঋণের বোঝা কমানো, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করা, রাজস্ব বাড়ানো। এসবের ওপর ফোকাস থাকলে অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে। শরীর কতটুকু খারাপ তা না জানলে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থনীতির ব্যাপারেও তেমন। সমস্যা কী, মাত্রা কতটুকু এটা না বুঝলে সমাধান দেওয়া যায় না। আগামী এক-দুই বছর ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক ফান্ডামেন্টালসে নজর দিতে হবে। গত ৫০ বছরের ইতিহাস বলে আমাদের ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক ফান্ডামেন্টালস ভালো ছিল। কম হলেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বড় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করলে ফের প্রবৃদ্ধি ভালো হবে।

জাগো নিউজ: অন্তর্বর্তী সরকারের গত চার মাসের গৃহীত পদক্ষেপগুলো কীভাবে দেখছেন?

আশিকুর রহমান: কিছু জায়গায় সফলতা, আবার দুর্বলতাও আছে। তবে ব্যাংকিং সেক্টরে সফলতা বেশি। যারা ব্যাংকখাতে অনিয়ম করেছে তাদের বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বোর্ড ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। এ খাতে সত্যিকার অর্থে কী পরিমাণ সম্পদ আছে সেটা বোঝার চেষ্টা হচ্ছে। ব্যাংকখাতে সুশাসনের অভাবে অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দুর্বল ১২টি ব্যাংক। সেই ক্ষতির মাত্রা কী সেটা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু মালিকানায় একটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে ফলে আগের সমস্যাগুলো এখন আর নেই। সার্বিকভাবে ব্যাংকখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফল আমরা হয়তো ছয় মাস থেকে এক বছর পর পাব।

‘বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তার ফলও কিছুটা দেখছি। আমানত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আস্থা ফিরছে ব্যাংকখাতে।’

Advertisement

আসলে ব্যাংকখাত একেবারে ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল। আমরা যা দেখছি যে উইন্ডো ড্রেসিং (আর্থিক বিবরণীর বিকৃত উপস্থাপন) করে দেখানো হচ্ছিল খেলাপি ঋণ কম। এখন যেহেতু স্বচ্ছতা বাড়ছে, আমরা বুঝতে পারছি খেলাপি ঋণ এখন ১৭ শতাংশ হয়েছে, যা আরও বাড়তে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাভাবিকভাবে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলও আমরা কিছুটা দেখছি। ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুটা হলেও আস্থা ফিরছে ব্যাংকখাতে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক।

আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি নজর দিতে হবে স্থিতিশীলতার দিকে নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর দাবি টিসিবির পণ্য নিতে মধ্যবিত্তরাও লাইনে

জাগো নিউজ: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে চাঁদাবাজি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে দেখছেন?

আশিকুর রহমান: আমি মনে করি সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনক নয়। কারখানাগুলো যতটুকু নিরাপত্তা চাচ্ছে, তা পাচ্ছে না। বিভিন্ন বাজারে সরবরাহের বিষয়ে দেখা যাচ্ছে ‘ক’ এর পরিবর্তে ‘খ’ চাঁদাবাজি করছে। সেই জায়গায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক চাঁদাবাজি, যোগসাজশের ব্যাপারে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি স্থিতিশীল না থাকে তাহলে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব নয়। বাকি যে জায়গাগুলো আছে সেগুলো রাজনৈতিক ব্যাপার। সেসব নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন দেবে।

জাগো নিউজ: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি কমেছে তিন দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের প্রায় অর্ধেক। নতুন বছরে প্রবৃদ্ধি কমবে?

আশিকুর রহমান: প্রবৃদ্ধি বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ অর্থনীতির মধ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সেটা রিজার্ভ, বিনিময় হার, মূল্যস্ফীতি, ঋণসহ সবক্ষেত্রে চাপ তৈরি করেছে। আমরা গত দেড়-দুই বছর বলে আসছি যে একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতি দরকার। যে কারণে কিছুদিন আগে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (এডিপি) দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা থেকে কমিয়ে দুই লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হবে।

‘দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সংসদে শক্ত বিরোধী দল থাকলে সবার আস্থা বাড়বে। বিদেশিরা বাংলাদেশে বেশি বেশি বিনিয়োগ করবে। ব্যাংকখাতে স্থিতিশীলতা তৈরি হবে।’

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতি এখন সময়ের দাবি। দেখা যায়, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং রাজস্বনীতি নিলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সুযোগ থাকে না। এছাড়া আসছে বছর প্রবৃদ্ধি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। বিষয়টা হচ্ছে যে মৌলিক সমস্যাগুলো অর্থনীতির বিভিন্ন খাত যেমন ব্যাংকখাত, রাজস্বখাত, ঋণ পরিশোধ, মূল্যস্ফীতি, বিনিময় হার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যে চাপ দেখা দিয়েছে তা কমাতে হবে। আমাদের মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে, রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে হবে, বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে হবে, ঋণ সমস্যার সমাধান করতে হবে, বিভিন্ন খাতভিত্তিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।

আরও পড়ুন: সিগারেটে কার্যকর করারোপ না করায় রাজস্ব হারিয়েছে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ: পরিকল্পনা উপদেষ্টা একনেকে ১৯৭৪ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

নির্বাচন তো হবেই, সেটা যখনই হোক। গত ১৫ বছরের আলোকে আমরা দেখেছি যে নির্বাচন যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক না হয় তাহলে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়, যা অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। তাই কীভাবে এটা হবে সেটা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এখন সেই নির্বাচন করার জন্য কীভাবে এগোবেন সেটা তারা ঠিক করবেন।

‘বাংলাদেশের কালচার হচ্ছে ম্যানেজ করে চলা। যেহেতু জনগণ আশা করছে এক বছর পর একটা রাজনৈতিক সরকার আসবে সেহেতু মানুষ এখন বড় বিনিয়োগে যাচ্ছে না।’

জাগো নিউজ: চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র খোলা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩৩ শতাংশ কমেছে, ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সংকট আরও প্রকট হবে। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

আশিকুর রহমান: এ সমস্যার সমাধান এখন করা যাবে না। নীতি সুদহার যেহেতু বেড়েছে ফলে আমদানি কমবে। এই এক বছর মানুষ বিনিয়োগে যাবে না। কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। এই একবছর বিনিয়োগ পরিবেশ চাইলেও ভালো করা সম্ভব নয়। মানুষ বসে থাকবে একটা রাজনৈতিক সরকার আসার আগ পর্যন্ত। বাংলাদেশের কালচার হচ্ছে ম্যানেজ করে চলা। যেহেতু মানুষ আশা করছে এক বছর পর একটা রাজনৈতিক সরকার আসবে সেহেতু মানুষ এখন বড় বিনিয়োগে যাচ্ছে না। তো স্বাভাবিকভাবেই এক বছর প্রবৃদ্ধি কমবে, যা আমরা আগেই বলেছি।

‘ক’ এর জায়গায় ‘খ’ কে বসিয়ে দেওয়া সংস্কারও নয়, পরিবর্তনও নয়। পরিবর্তন আনতে হবে। চেঞ্জ নয়, প্রোগ্রেস আনতে হবে। এই দুটি শব্দ অনেক আলাদা। চেঞ্জ হচ্ছে ‘ক’ এর পরিবর্তে ‘খ’ আসা, আর প্রোগ্রেস হচ্ছে পরিবেশ উন্নত করা।

জাগো নিউজ: ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, আলুর দাম কমছে না। খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। সাধারণ মানুষ তো দৃশ্যমান পরিবর্তন চায়। এই সরকার কি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপারগ?

আশিকুর রহমান: ঠিক অপারগতা নয়, তবে এক ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে যে চাঁদাবাজি হচ্ছে এটা সরকারের জন্য বের করা কঠিন কাজ নয়। আগে একজনকে চাঁদা দিতে হতো, এখন পাঁচ গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। এটা কারা করছে? তা বের করা কি কঠিন? আমি বলব না। ‘ক’ এর জায়গায় ‘খ’ কে বসিয়ে দেওয়া সংস্কারও নয়, পরিবর্তনও নয়। পরিবর্তন আনতে হবে। চেঞ্জ নয়, প্রোগ্রেস আনতে হবে। এই দুটি শব্দ অনেক আলাদা। চেঞ্জ হচ্ছে ‘ক’ এর পরিবর্তে ‘খ’ আসা, আর প্রোগ্রেস হচ্ছে পরিবেশ উন্নত করা।

আরও পড়ুন: ব্যাংক নিরীক্ষায় নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ফের অস্থির ডলার বাজার বিশ্বব্যাংক থেকে ১০৮০০ কোটি টাকা ঋণ পেলো বাংলাদেশ

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি, ভোগ্যপণ্যে দামে যোগসাজশ, সেই জায়গায় আমাদের পদক্ষেপগুলো তো নিতে হবে। সেটা কতটুকু নিতে পারবে তা সরকারের বিষয়। আমরা নন-ফুড মূল্যস্ফীতি দেখেছি ১০ শতাংশের নিচে আছে। সমস্যা হচ্ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে। কিছু জায়গায় করছাড় দেওয়া হয়েছে যার সুবিধা পেতে হয়তো দুই মাস সময় লাগবে। কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে সরবরাহে সমস্যা আছে, এগুলো সমাধান করতে হবে।

সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে খাদ্যের দাম কিছুটা কমে, কারণ নতুন ফসল আসে। আগামীতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও কমবে। আমাদের একটা বন্যা পরবর্তী প্রভাবও আছে। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের একটা শক আছে। অনেকগুলো শক আছে ফলে পণ্য সরবরাহে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না, যতটুকু পারা উচিত ছিল। তাদের অবশ্যই এটা দেখতে হবে।

‘খেলাপি ঋণ কিংবা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে। মুদ্রানীতির অবস্থান আগের চেয়ে এখন আরও ভালো।’

জাগো নিউজ: অর্থ উপদেষ্টা করছাড় নিয়ে বলেছেন ‘সুরক্ষার দিন তো চলে গেছে’, অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের করছাড় কি কমতে পারে?

আশিকুর রহমান: করছাড় দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায় অপচয় হচ্ছে। তাই করছাড় দেওয়াকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে সরকারকে এগোতে হবে যে কোথায় করছাড় দেওয়া প্রয়োজন। কারণ কর প্রাপ্তি একটা সমস্যা। রাজস্ব প্রাপ্তিতে সমস্যার কারণে ঋণের চাপ বাড়ছে। তাই রাজস্ব চাপ, ঋণের চাপ কমাতে হলে রাজস্ব বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-এডিবির ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট অনুমোদন আয়-মূলধনের সঠিক তথ্য দিতে গড়িমসি, শীর্ষে পোশাক শিল্প তিন সপ্তাহে এলো ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

আপাতত নীতি সুদহার ১০ শতাংশে আছে। এটা হয়তো আর বাড়বে না। মূল ফোকাসটা হচ্ছে সরবরাহ স্বাভাবিক করা। খেলাপি ঋণ কিংবা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মুদ্রানীতির আগের চেয়ে আরও ভালো অবস্থান আমরা দেখছি।

জাগো নিউজ: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ওয়েট অ্যান্ড সি মুডে চলে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে আস্থার সংকট কাটছে না। ২০২৫ সাল বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কেমন হবে?

আশিকুর রহমান: যে কোনো রাজনৈতিক সরকার যদি স্থিতিশীলতা, সমন্বয় আনতে পারে কিংবা ভিশন দেখাতে পারে তাহলে বিনিয়োগ ভালো হবে। এক বছরে এটা ঠিক করা কঠিন। যদি একটা অন্তর্বর্তীমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হয়, মানুষের মনে আস্থা তৈরি হয়, সংসদে যদি ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের অবস্থান থাকে অর্থাৎ গণতন্ত্র থাকে তাহলে স্থিতিশীলতা আসবে। তখন বিনিয়োগ বাড়বে বলে আমি মনে করি।

এসআরএস/এমআরএম/এমএমএআর/এএসএম