লাইফস্টাইল

২০২৪ সালে কোন কোন রোগে বেশি ভুগেছেন মানুষ?

আজ ২০২৪ সালের শেষ দিন। কাল থেকে শুরু নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল। নতুন বছরের জন্য আনন্দ-উচ্ছ্বাস তো আছেই। সঙ্গে স্বাস্থ্য নিয়ে মাথাব্যথাও বেড়েছে। বছর শেষে সবার সুস্থতাই কাম্য।

Advertisement

তবে অন্যান্য বছরের মতো, এ বছরও কিন্তু ছিল রোগ-সংক্রমণ নিয়েই। এমনিতেই করোনা মহামারী প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে নতুন রোগব্যাধিতেও বছরজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ।

কোভিড ১৯ এর এক্সবিবি রূপ

করোনা মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এই রোগ লাখ লাখ মানুষের প্রাণ নিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড ১৯ এর এক্সবিবি রূপ।

এক্সবিবি হলো কোভিডের সবচেয়ে সংক্রামক রূপ। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, শিশুদের মধ্যেও শনাক্ত হয়েছে কোভিডের এই ধরন। যার মধ্যে চোখ লাল হওয়া নতুন উপসর্গ বলে মনে করা হয়।

Advertisement

নিপা ভাইরাস

চলতি বছরে দেশে ফের নিপা ভাইরাস ঘিরে আতঙ্ক বাড়ে। মূলত নিপা ভাইরাস বাদুড় ও শূকর দ্বারা ছড়ায় ৷ করোনা ভাইরাসের মতো, নিপা একটি সংক্রামক রোগ। যা একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷

আরও পড়ুন

হাতে তীব্র যন্ত্রণা-অসাড়ভাব কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো? শীতে কোন সময় গোসল করলে শরীর থাকবে সুস্থ? ক্যানসার

চলতি বছরে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার। বর্তমানে নারীদের মধ্যে যে ক্যানসার সবচেয়ে বেশি হচ্ছে এই ক্যানসার। এই রোগে স্তনের টিস্যুতে অস্বাভাবিক কোষগুলো বেড়ে যায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। স্তন ক্যানসার কিছুক্ষেত্রে বংশগতও হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে স্তনে পিণ্ড, স্তনের আকৃতির পরিবর্তন, চারপাশে লালচেভাব ও স্তনে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি।

Advertisement

ডেঙ্গু জ্বর

ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি মশাবাহিত রোগ হলো ডেঙ্গু। যা মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। চলতি বছরে এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষকে শিকার করেছে। যা অনেক মানুষের প্রাণও কেড়েছে।

মাঙ্কি পক্স

চলতি বছরের মে মাস থেকেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মাঙ্কি পক্সের থাবা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, শুধু আফ্রিকাতেই ১৪ হাজারেও বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে এই রোগে মারা গিয়েছে ২০৮ জন ৷

সূত্র: বোল্ডস্কাই

জেএমএস/এমএস