পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালটি ৫০ শয্যার হলেও এখানে রোগীর চাপ থাকে কয়েকগুণ বেশি। তবে সে তুলনায় জনবল অনেক কম। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের তথ্যমতে, বর্তমানে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছেন ১৭ জন। এদের মধ্যে তিনজন প্রশিক্ষণে রয়েছেন। অর্থাৎ বর্তমানে ১৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা। নার্স রয়েছেন ২০ জন। এদের মধ্যে একজন ছয় মাস এবং আরেকজন দুই বছরের ছুটিতে গেছেন।
Advertisement
সাত দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আবুল কাশেম। তার ভাষ্য, হাসপাতালের চিকিৎসা যথেষ্ট ভালো। চিকিৎসকও যথাসময়ে ভিজিট করে যান। তবে নার্স ও চিকিৎসকের সংখ্যা আরও বেশি হওয়া দরকার। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম।
শ্বশুরকে চিকিৎসা করাতে এসেছেন মায়া মনি। তিনি বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসা খুব ভালো। চিকিৎসকরাও যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন। তবে কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কেনা লাগে।’
তবে হাসপাতালের ওয়াশরুমের অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, ওয়াশরুমের যা-তা অবস্থা। পরিচ্ছন্নকর্মীরা কী করে?’
Advertisement
নার্সিং সুপারভাইজার আঞ্জুমান আরা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এখানে নার্সের সংখ্যা একেবারেই কম। হাসপাতাল আর রোগীর তুলনায় প্রচুর চাপ পড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে নার্সরা ছুটি চাইলে দিতে ঝামেলা হয়। শুধু নার্সই না, ক্লিনারেরও একই অবস্থা। জনবল বাড়ানো উচিত এখানে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শারমিন আক্তার তিথী বলেন, ‘কিছুদিন হলো এখানে জয়েন করেছি। এখানে রোগীর অনেক চাপ। প্রতিদিন অন্তত ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়। তবে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। যে সেবাটা দেওয়া দরকার আমরা সেটা দিতে পারছি না।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেছেন, বর্তমানে নতুন করে জনবল নিয়োগের সুযোগ নেই। সেটা আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে ক্লিনারের বিষয়টি মাথায় রয়েছে।
মো. আকাশ/এসআর/এমএস
Advertisement