২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। এবার সেই বিভেদ ভুলে এক হলো দুই গ্রুপ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন দুই গ্রুপের নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের অপর পক্ষের সদস্য সচিব ফারুক হাসানসহ উভয় পক্ষের কেন্দ্রীয় নেতারা।
নুরুল হক ও তার সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। তবে ২০২৩ সালে তিনজন নেতাকে অব্যাহতির ঘটনায় দলের নেতৃত্ব নিয়ে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের মধ্যে মতবিরোধ দেখ দেয়। পরে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতির ঘটনায় কার্যত ভেঙে যায় গণঅধিকার পরিষদ।
নুরুল হক নুর বলেন, ৫ আগস্টের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সবাই এক হয়েছিলাম। যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, গত ৫ মাসে সে ঐক্যে কিছুটা ফাটল ধরেছে। বর্তমান সরকারের প্রতি যে আস্থা, ৫ মাস পরে এসে সেখানে ফাটল ধরেছে। আমরা ডিসি নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি দেখলাম। সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটলো। এসব দিক বিবেচনায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।
Advertisement
এসময় তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের ভাইয়েরা আলাদাভাবে কাজ করছিল। আজ থেকে আমরা এক হয়ে কাজ করবো। এক হয়েছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এ নেতৃত্ব। এ আন্দোলনে তাদের অনেক ত্যাগ রয়েছে। জাতির প্রয়োজনে আবারও আমরা এক হয়ে গেলাম আজ থেকে।
সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, এখন অনেক অফিস থেকে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ সব সাংবাদিকদের পাশে থাকবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিগত সরকারের আমল প্রেসক্রিপশন দেওয়া হতো কী বলতে, কী লিখতে হবে এসব নিয়ে। নতুন বাংলাদেশের আয়না হিসেবে কাজ করতে হবে সাংবাদিকদের। জাতির জন্য নতুন সংবালাদেশের পাশে থাকবে সবাই।
ফারুক হাসান বলেন, নানা দল এসেছে দেশে। তারা অন্যদের ওপরে চেপে বসেছে। তরুণদের ভূমিকার কারণে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। সবার সমান সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কোনো বিভাজনের মধ্যে পড়ে তরুণরা যেন কারও শিকার না হন। ২০১৮ সালে প্রতিটি স্কুল-কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে যায় আমাদের আন্দোলন। মাঝে বেশ কিছু মতানৈক্য হয়ে দুটি গ্রুপ আলাদাভাবে পথ চলছিলাম। আমরা আলাদাভাবে কাজ করলেও সবার মাথায় একটা মত ছিল, তা হলো গণঅধিকার পরিষদ। সাধারণ জনগণের মাঝেও এ ফিল ছিল। তাদের মূল্যায়ন করতে আমরা এক হয়েছি।
ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement