চব্বিশের বিপ্লব নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের আহ্বান জানান।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর রাজধানীতে প্রকাশ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সদস্য সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের শহীদ আলী রায়হানের বাবা মোসলেম উদ্দিন।
উদ্বোধনী সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ ওয়াসিম ও শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর পরিবারের সদস্যরা।
Advertisement
দীর্ঘদিন গুমের শিকার নেতাকর্মীরাও তাদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। গুম হওয়া পাঁচশো নেতাকর্মীর ৬ জন এখনও ফিরে আসেনি বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, বিগত সময়ে সর্বোচ্চ নির্যাতনের শিকার হবার পরও একটুও দমে যায়নি শিবিরের নেতাকর্মীরা। বরং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সফল করতে অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ হবার পরও ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রাজপথে।
আরও পড়ুন>>>
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন শুরুসম্মেলনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ছাত্রশিবিরকে বিভিন্ন ভাবে ট্যাগ লাগিয়ে হেনস্থা করা হত। অথচ তারা বন্যা হলে সবার আগে দৌঁড়ায়, মানুষের বিপদে ছুটে যায়, সায়ন্স ফেস্ট করে, বিপ্লবকে স্মরণ করে। ভারতীয় এজেন্টরা এর পিছনে কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা ফারুক হাসান বলেন, ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা চেয়েছে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করে নিজেদের আয়ত্তে নিতে।
Advertisement
সম্মেলনে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিনের ছাত্র নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা ছাত্র শিবিরকে নির্যাতন মাড়িয়ে সুদিনে ফেরায় শুভকামনা জানায়। দেশের জন্য ও ইসলামের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের স্মরণ করেন তারা। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের গাজায় শহীদদের মাগফিরাত কামনা করেন।
সদস্যদের সরাসরি ভোটে নতুন বছরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন।
এএএম/এসআইটি