সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ উপকূলে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ভারতীয় ও পাকিস্তানি বলে জানা গেছে। একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হন।
Advertisement
আমিরাতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, জাজিরা এভিয়েশন ক্লাব পরিচালিত একটি হালকা উড়োজাহাজ সমুদ্রে বিধ্বস্ত হলে পাইলট ও কো-পাইলট উভয়ই নিহত হন। মারাত্মক এই দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহতরা ভারতীয় ও পাকিস্তানি।
আরও পড়ুন:
আশঙ্কা-ই সত্যি হলো, ১৮১ যাত্রীর ১৭৯ জনই মারা গেলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭ সবচেয়ে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো দ. কোরিয়াবিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সৈকত বরাবর কোভ রোটানা হোটেলের কাছে উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, গ্লাইডারটি (ফিক্সড উইংয়ের এয়ারক্র্যাফট) রেডিও যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল ও পরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিল। দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা হলেও দুজনকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:
মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইলেন জেজু এয়ারের সিইও-কর্মকর্তারা কাজাখস্তানে প্লেন দুর্ঘটনায় ৩২ জন জীবিত উদ্ধার ৬৭ আরোহী নিয়ে কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্তএদিকে, একই দিনে অর্থাৎ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ফ্লাইটটির ১৮১ আরোহীর মধ্যে দুজন বেঁচে গেলেও, প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৯ জন।
প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলযোগের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ব্ল্যাকবক্সের ডাটা রেকর্ডারের তথ্য বিশ্লেষণের পরই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উপ যোগাযোগমন্ত্রী।
Advertisement
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসএএইচ