কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে গিয়ে ফেনীর পরশুরামে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার ধনীকুন্ডা হোসনে আরা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
সোমবার রাতে সংঘর্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে পরশুরামের ধনীকুন্ডায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ফেনীর সন্তান রফিকুল আলম মজনু। অনুষ্ঠান শেষে ধনীকুন্ডা হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাইকে কেন্দ্র করে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারি হয়। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিম মাকসুদসহ শীর্ষ নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক বলেন, অনুষ্ঠানে এক ছাত্রলীগ কর্মী আসায় ঝামেলা হয়েছে। ওই ছেলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল আলিম মাকসুদের বহরে ছিল এবং তারই অনুসারী। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর পরামর্শে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল আলিম মাকসুদ বলেন, আমার অনুসারী বা সঙ্গী বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। ঘটনায় রফিক ও টিপু নামে দুজন ত্যাগী নেতা আহত হয়েছেন। আগামীতে উপজেলা বিএনপির কমিটি হবে, সেজন্য আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে এ ধরনের মিথ্যাচার করছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জেআইএম