সবে মাত্র এক বছর পার হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। গ্রামে দাপিয়ে বেড়ানোর সেই মুস্তাফিজের সাথে বর্তমান মুস্তাফিজের তেমন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না ভারতীয় দলের ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী। গ্রামের সেই দুরন্ত ছেলেটিই আজ বিশ্ব মাতাচ্ছে দেখে সবার মত রবি শাস্ত্রীও আপ্লুত মুস্তাফিজের উত্থানে।ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা আনন্দবাজারে দেয়া নিজস্ব কলামে রবি শাস্ত্রী লেখেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যেই মুস্তাফিজুর এমন একটা সমীহ আদায় করে নিয়েছে যেটা অনেক পেশাদার বোলারের তৈরি করতে সারাজীবন লেগে যায়। মনে হচ্ছে যেন গত কালই ছেলেটা বাংলাদেশে ওর গ্রামের পুকুরের পাশে বসে ছিল।’এমন এক সাদাসিধে ছেলের ক্রিকেটে আগমনটাও ছিলে রাজকীয়ভাবে। শাস্ত্রীর মতে, ‘পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে এ ছেলে বিস্ময়প্রতিভা। ভাবুন ভারতের বিরুদ্ধে একটা ওয়ান ডে সিরিজে দুটো পাঁচ উইকেট নেওয়া পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু। বা আমলা, ডুমিনি আর ডি’কককে আউট করে টেস্ট অভিষেক। বা চলতি আইপিএলে ওকে দেখেই ব্যাটসম্যানরা যে রকম গলে যাচ্ছে।’ পেস বোলারদের সবসময় হাসতে দেখা যায় না। কিন্তু মুস্তাফিজের হাসিটা বেশ মনে ধরেছেন শাস্ত্রীর। ‘খুব বড়সড় চেহারার মালিক ও নয়, প্রচণ্ড গতি আছে বোলিংয়ে এমনও না। ওই এক মাত্র বোলার নয় যে ক্রিকেট বলকে সুইং করাতে পেরেছে। এখন তো সবাই কাটার করতে পারে। তার উপর মাঝে মাঝেই ছেলেটা হাসে। ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে যেটা সচরাচর দেখা যায় না।’আরআর/পিআর
Advertisement