প্রতারণার মামলায় চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ (এম এ জলিল) ছয়জনকে আদালতে হাজিরের জন্য সমন জারি করা হয়েছে। গত বছর সাভারের বিরুলিয়ার শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
Advertisement
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ সমন জারি করেন।
অনন্ত জলিল ছাড়াও এ মামলায় বাকি অভিযুক্তরা হলেন- পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, কোম্পানিটির ফাইন্যান্স পরিচালক মো. শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিটের হেড অব কস্ট শহিদুল ইসলাম।
এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
সিনেমায় ফিরছেন অনন্ত জলিল, নায়িকা কেবেতন দাবিতে অনন্ত জলিলের কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভঅভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পোলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের অর্ডার দেন। অভিযুক্তরা তাকে এলসির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করার কথা জানান। পরে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। একই বছরের মার্চের মধ্যে বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন।
পাওনা পরিশোধের জন্য গত বছরের ১৫ মার্চ মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল প্রাপ্য টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে থাকা ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। শাফিল চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলার সমমূল্যের কাজ করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগপত্রে।
এমএএস/এএমএ
Advertisement