নিয়ামুর রশিদ শিহাব
Advertisement
উপকূলীয় এলাকা থেকে ক্রমেই গোলগাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় চাষাবাদ ও সংরক্ষণের অভাবে গোলগাছ বিলুপ্তির অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। ক্রমবর্ধমান গতিতে এ অঞ্চলের লোকালয় থেকে গোলগাছ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় গোলগাছ রক্ষার জন্য আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
জানা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলের লোকালয়ে একসময় খাল, বিল, নদীর তীরসহ সর্বত্র গোলগাছ পাওয়া যেত। গাছের নাম গোল হলেও দেখতে নারিকেল গাছের পাতার মতো। এর উচ্চতা প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুটের বেশি। সাধারণ লবণাক্ত পলিযুক্ত মাটিতে ভালো জন্মায়। বিস্তীর্ণ এলাকাসহ খালের ধার, নদীর চরাঞ্চল গোলগাছ চাষের উপযুক্ত স্থান।
আরও পড়ুনসুনীলের সুগন্ধি মরিচ, বছরে গড়ে আয় ৮ লাখপরিবেশ ও জীবনে পর্বতের গুরুত্ব অপরিসীমগোলগাছের বীজ (গাবনা) মাটিতে পুঁতে রাখলেই চারা জন্মায়। একেকটি গাবনায় ১২৫-১৫০টি পর্যন্ত বীজ থাকে। গোলগাছ চাষে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। সহজলভ্য এবং ব্যয় কম হওয়ায় চাষাবাদ অত্যন্ত লাভজনক। গোলগাছ চাষে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও কোনো ধরনের পরিচর্যা প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া গোলগাছের রস দিয়ে গুড় উৎপাদন করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
Advertisement
দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় গোলগাছ চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও সম্ভাবনাময় এ প্রজাতির উদ্ভিদ প্রয়োজনীয় চাষাবাদ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙনসহ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে লোকালয় থেকে গোলগাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
লেখক: সাংবাদিক ও কথাশিল্পী।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement