কদমতলী থানার পাশে ভাড়া বাসায় স্বামী ও তিন বছরের সন্তান রাফসানকে নিয়ে থাকেন রহিমা। জুলাই আন্দোলনে ঘরে থাকা অবস্থায় হাতে গুলি লাগে রাফসানের। বয়স কম হওয়ায় হাতের গুলি বের করা এখনো সম্ভব হয়নি।
Advertisement
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টন এলাকায় ফারস হোটেলে আহতদের নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ‘প্রেরণার গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আহতরা কেউ স্ট্রেচারে, কেউ লাঠিতে ভর দিয়ে, কেউ খুঁড়িয়ে কেউ বা চোখে কালো চশমা পরে উপস্থিত হন। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয় রাফসানও।
রাফসানের মা রহিমা জানান, তার স্বামী একটি কারখানায় কাজ করেন। শিশুটির হাতের গুলি নিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল। সব খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভবও ছিল না। প্রথম থেকেই জামায়াত এগিয়ে আসে। তাকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।
সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে রহিমা বলেন, ‘আমি বাচ্চা নিয়ে বাসায় ছিলাম। সেদিন অনেক ঝামেলা ছিল। গ্যাঞ্জাম লাগলে ওপরের তলায় বাড়িওয়ালার বাসায় যাই। রাফসান ঘুমিয়ে গেলে তারে নিয়ে নিজের বাসায় নিচতলায় আসি। এর মধ্যে হঠাৎ করেই অনেক গুলি ছোড়া হয়। জানালা ভেঙে গুলি এসে লাগে রাফসানের গায়ে। এরপর সবাই নেমে আসে। বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকি।’
Advertisement
সর্বশেষ অরোরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, শিশু হওয়ায় এখন তার সার্জারি করা যাবে না। তার শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত নেই। সার্জারি করা এখন সম্ভব হবে না। তার বয়স ছয় বছর হলে বুলেট বের করা যাবে।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির জানান, রাফসানের মা রাজি থাকলে রাফসানের সুচিকিৎসা, শিক্ষার সব খরচ এখন থেকে জামায়াত গ্রহণ করবে।
এএএম/এমএইচআর
Advertisement