হাজারও পুষ্টিগুণে ভরপুর পেয়ারা। এই ফল বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে। তবে জানলে অবাক হবেন, পেয়ারা কিন্তু সবার জন্য উপকারী নয়। এই সুস্বাদু ফল অনেকের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
Advertisement
মনে রাখবেন, পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই পেয়ারা অতিরিক্ত খেলে পেটের যেমন উপকার হয়, অন্যদিকে শরীরে পানির অভাবও হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাদের পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, না হলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে-
একজিমা রোগীপেয়ারায় কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে, যা কিছু মানুষের ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। আপনার যদি একজিমার মতো ত্বক সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকে, তবে পেয়ারা খাওয়ার আগে অবস্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সর্দি-কাশির রোগীপেয়ারার একটি শীতল প্রভাব আছে। ফলে এই সুস্বাদু ফল ঠান্ডা ও কাশির মতো সমস্যাগুলো বাড়িয়ে তুলতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, আগে থেকেই সর্দি-কাশি থাকলে পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
Advertisement
আরও পড়ুন
শীতে ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাতে যেসব ফল খাবেন ২০২৪ সালের ট্রেন্ডিং সুপারফুড কোনগুলো? ডায়াবেটিস রোগীপেয়ারায় আছে প্রাকৃতিক চিনি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীরাগর্ভাবস্থায় শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে ও এ সময়ে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। পেয়ারাও তার মধ্যে অন্যতম। পেয়ারা খাওয়ার ফলে গর্ভবতী নারীদের পেটে ব্যথা, বমি ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া বুকের দুধ খাওয়ানো নারীদেরও পেয়ারা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এটি শিশুর ক্ষতি করতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
Advertisement
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে যাদের আগে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা গ্যাসের মতো পেটের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পেয়ারা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। পেয়ারা খেলে এসব সমস্যা বাড়তে পারে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এমএস