মাসিক বা হায়েজ অবস্থায় নারীদের নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ। এ সময় ফরজ-ওয়াজিব নামাজগুলো মাফ হয়ে যায়। এ সময় নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হয় এবং এ নামাজগুলোর কাজাও করতে হয় না।
Advertisement
নামাজের যে ওয়াক্তে মাসিক শুরু হবে ওই ওয়াক্তের নামাজও মাফ হয়ে যায়। ওয়াক্তের শেষ দিকে মাসিক শুরু হলেও একই বিধান। যেমন জোহরের ওয়াক্তের একেবারে শেষেও যদি কারো মাসিক শুরু হয়ে যায়, সে তখনও নামাজ আদায় না করে থাকে, তাহলে ওই জোহরের নামাজ তার জন্য মাফ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে কাজা করতে হবে না।
কোনো নারী যদি ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখে, তাহলে মাসিকের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সে নামাজ আদায় করতে পারে এবং ফরজ-ওয়াজিব নামাজগুলো তার ওপর ফরজ-ওয়াজিব থাকে। ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখলে তার ওই দিনগুলো মাসিকমুক্ত স্বাভাবিক দিন হিসেবেই গণ্য হয়। এ সময়ে সে তাওয়াফ করতে পারে, রোজা রাখতে পারে, কোরআন তিলাওয়াতও করতে পারে।
ওষুধ সেবন করে মাসিক বন্ধ রাখা ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। তবে মাসিক বন্ধ রাখার ওষুধ সেবন করলে যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে, তাই ওষুধ সেবন করে মাসিক বন্ধ না রাখাই ভালো।
Advertisement
ওএফএফ/জিকেএস