সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ’ ২২ ডিসেম্বর ৮৪ স্মরণে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের এই সংস্কার যে কীরূপ হবে, কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, আমরা তা বলতে পারি না। কারণ, সাইবার সংক্রান্ত সংস্কারের যে রূপটি আমরা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে ভালো কিছু ফিরছে না।
তিনি বলেন, চারদিকে বিভিন্ন ঘটনায় আমরা শঙ্কিত, আমরা ভয়ার্ত। এ ভয় ব্যক্তিগত নয়, রাষ্ট্র নিয়ে ভয়। আমরা এর আগেও দেখেছি, কোনো সচিব বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ এলেই সচিবালয়ের নথি গায়েব হয়ে যায়, সেখানে আগুন ধরে যায়। গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে সচিবালয়ে যে আগুন, তা নিয়ে আমরা কোনো মুখরোচক কথা বলতে চাই না।
Advertisement
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সচিবালয়ে আগুনে অনেক নথিপত্র পুড়ে গেল। একটি ঘটনা আরেকটি ঘটনার সন্দেহ তৈরি করে। গতকালই আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি , কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই নথি চাওয়ার পর রাতেই আগুনের ঘটনা ঘটলো। ফলে এ নিয়ে জনমনে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মত দেন রিজভী। তিনি বলেন, কারণ গতকাল শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কিছু নথিপত্র চাওয়ায় সচিবালয়ে নথিপত্র পুড়ে যাওয়া ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এটি মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে, মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কারা নির্বাচিত হবে, তা যদি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে এই আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে।
তিনি বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয় কীভাবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরিবর্তিত দেশকে শুধু ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।
Advertisement
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার কালা কানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অনেক দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। বিএনপিকে ভাঙার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না, জনগণের মধ্যে তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
কেএইচ/এমকেআর/জিকেএস