এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন। তবে এসময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৫৬৫ জন এবং মোট শনাক্ত রোগী এক লাখ ৫৫৮ জন।
Advertisement
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ২, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২, রাজশাহী বিভাগে ৪, ময়মনসিংহে ৫ এবং সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক লাখ ৫৫৮ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী। একই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫৬৫ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Advertisement
আরও পড়ুন
ডেঙ্গু সংক্রমণের মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগে মারা যান ২৮১ জন।
এমকেআর/এমএস