চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজে খুনের ঘটনায় হাইমচর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জাহাজ মালিকের পক্ষে মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মাহবুব মোরশেদের বাড়ি ঢাকার দোহার এলাকায়। এতে খুন ও ডাকাতির অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান। এছাড়া এ ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয় ও চাঁদপুরের স্থানীয় প্রশাসন থেকে পৃথক ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ ৭টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জোয়াইর উপজেলার মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগনে জাহাজের লস্কর শেখ সবুজ (৩৫), সুকানী নড়াইল লোহাগড়ার আমিনুল মুন্সী (৪০), লস্কর মাগুরার মোহাম্মদপুর এলাকার মো. মাজেদুল ইসলাম (১৭), একই এলাকার লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬), নড়াইল লোহাগড়া এলাকার জাহাজের ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) ও মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর থানার জাহাজের বাবুর্চি রানা (২০)।
Advertisement
মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ এজহারের বিবরণে উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল গলায় কাটা রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে কথা বলতে না পারায় ডাকাত দলের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি। তিনি সুস্থ হলে ডাকাতদলকে দেখলে চিনবেন বলে ইশারায় জানিয়েছেন। তবে জুয়েলের সঙ্গে ৯ জন ছিলেন বলে লিখে জানিয়েছেন। ৯ নম্বর ব্যক্তির নাম ইরফান। তবে তার ঠিকানা দিতে পারেননি।
ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, একমুঠো ভাত ও এক চামচ তরকারি জব্দ করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, এমভি আল বাখেরা পণ্যবাহী জাহাজে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী তার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত টিম কাজ করছে। এছাড়া আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজ থেকে ৭ জনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
শরীফুল ইসলাম/এফএ/এএসএম