সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে গিয়েছিলেন, তারা কেউ একটি ম্যাচও খেলেননি। বাকি প্রতিষ্ঠিত পারফরমারদের প্রায় সবাই খেলেছেন এবারের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগ; কিন্তু সেসব পরিণত ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমারদের অনেকেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
Advertisement
এবারের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে ব্যাটিংয়ে উড়লো নতুনের কেতন। কয়েকজন তরুণ ব্যাটার বিশেষ করে জিসান আলম, হাবিবুর রহমান সোহান আর আজিজুল হাকিম তামিম অন্যদের চেয়ে বেশি বেশি নজর কেড়েছেন। তাদের ব্যাটে ছিল নৈপূণ্যের ঝিলিক।
রান তোলায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে নাইম শেখ আর নুরুল হাসান সোহান ছাড়া সবই তরুণ। নবীন ব্যাটার। সবার ওপরে ঢাকা মেট্রোর বাঁ-হাতি টপ অর্ডার নাইম। তার সংগ্রহ ১০ ম্যাচে ৩১৬। গড় ৩১.৬০। স্ট্রাইকরেট ১৩৫.০৪।
ব্যাটারদের মধ্যে রান তোলায় দ্বিতীয় হলেন গত বার বিশ্বযুব ক্রিকেট ক্রিকেটে ওপেন করা জিসান আলম। সিলেটের হয়ে ৭ ম্যাচে একটি শতরানসহ ২৮১ রান করে নিজের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জিসান।
Advertisement
ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৫৩ বলে শতরান করার পাশাপাশি জিসান আলম রাউন্ড রবিন লিগে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ৭৩ আর রাজশাহীর সাথে ৬০ রানের দুটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে জিসানের।
রান সংগ্রহে তিন নম্বরে আছেন নুরুল হাসান সোহান। খুলনার অধিনায়ক এ উইকেটকিপার কাম মিডল অর্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ খেলায় ২৬৬ রান। সোহানের গড়টা বেশ ভাল; ৫৩.২০। তবে স্ট্রাইকরেট তেমন ভাল না; ১২৬.০৭।
চার নম্বর জায়গাটি দখল করেছেন তরুণ সম্ভাবনাময় হাবিবুর রহমান সোহান। রাজশাহীর এ টপ অর্ডার ৭ খেলায় ২৫৯ রান। হাবিবুর রহমান সোহানের গড় ৩৭.০০।
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও দারুন খেলেছেন। খুলনার পক্ষে ৯ ম্যাচে দুটি হাফ সেঞ্চুরিসহ (রাজশাহীর বিপক্ষে ৩১ বলে ৫৩ ও রংপুরের বিপক্ষে ৪১ বলে ৬০) ২৩৭ করে রান তোলায় পঞ্চম আজিজুল হাকিম তামিম। ৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোর ওপেনার ইমরানউজ্জামান (১০ খেলায় ২২৮)। এরপর রান তোলায় একঝাঁক তরুণ নবীনের অবস্থান।
Advertisement
রান তোলায় শীর্ষ দশে জায়গা পাননি। তার অবস্থান ১২ নম্বর। তবে ম্যাচ পিছু স্কোর ধরলে সবচেয়ে সফল ব্যাটার হলেন তামিম ইকবাল। ৪ খেলায় (১৩, ৬৫, ২১*, ৯১) দেশসেরা ওপেনারের সংগ্রহ ১৯০।
এছাড়া জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারের তকমাধারীদের মধ্যে টপ অর্ডার শামসুর রহমান শুভও ৯ ম্যাচে ১৯৬ রান করে তামিম ইকবালের ঠিক আগের (১১ নম্বর) জায়গাটি দখল করেছেন শুভ। একইভাবে ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্তও ৬ খেলায় অংশ নিয়ে (৮০, ৬, ৪, ১, ৭৮) ১৬৯ রান তুলে নজর কেড়েছেন।
এর বাইরে রান তোলায় বাকি সবাই তরুণ; আকবর আলী (৯ ম্যাচে ২০৮), তৌফিক বিন তুষার (৭ ম্যাচে ২০০), সাব্বির হোসেন (৭ ম্যাচে ১৯৯), ইয়াসির আলী (৭ ম্যাচে ১৮৭)।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারের তকমা গায়ে লাগানো পারফরমারদের মধ্যে তানবির হায়দার (৯ ম্যাচে ১৯৯), এনামুল হক বিজয় (৯ ম্যাচে ১৮০), ফজলে রাব্বি (৬ ম্যাচে ১৭৫), মাহমুদুল হাসান জয় (৮ ম্যাচে ১৭৫) মোটামুটি রান করেছেন।
এআরবি/আইএইচএস