নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় ভাবি শাহনাজ আক্তার পিংকিকে (৩০) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি চাচাতো দেবর খালেদ সাইফুল্ল্যাহকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে নরসিংদীর মনোহরদী থানার মৌলভীবাজার এলাকার নলুয়া জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের পর তিনি সেখানে তাবলীগ জামাতের সঙ্গে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
গ্রেফতার খালেদ সাইফুল্ল্যাহ বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম লিটনের ছেলে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহীম গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় দেখা যায়, পিংকিকে খুনের পর আসামি খালেদ সাইফুল্যাহ মাইজদী-সোনাপুর-কবিরহাট রোড হয়ে সিএনজিযোগে ফেনী পৌঁছান। পরে বাসযোগে ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদে গিয়ে তাবলিগ জামাতের সঙ্গে তিন দিন থাকেন। পরে সেখান থেকে নরসিংদী গিয়ে তাবলিগে আত্মগোপন করেন। সোমবার রাতে সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় ভাবিকে হত্যানিহত গৃহবধূ পিংকি বেগমগঞ্জের হাজীপুর ইউনিয়নের শ্রীরাম ভূইয়া বাড়ির কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে শ্বশুর রেজাউল হকের সঙ্গে (৮০) বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন পিংকি। পথে চৌমুহনী হাজিপুর পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খালেদ সাইফুল্যাহ ও তার সহযোগীরা তাদের ছুরিকাঘাত করেন। এতে পিংকি ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নিহতের বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পিংকির মোবাইল ফোন নষ্ট হলে তা ঠিক করতে খালেদ সাইফুল্লাহকে দেন। এসময় তিনি ওই ফোন থেকে পিংকির কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা নেন। একপর্যায়ে খালেদ শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চাইলে পিংকি রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করা হয়।’
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, আসামি খালেদ সাইফুল্যাহর বিরুদ্ধে হত্যাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার আরও দুই সহযোগী পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এএসএম