আইন-আদালত

বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দ্বারপ্রান্তে বিচার বিভাগ

বিচার বিভাগ স্বতন্ত্রীকরণের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দ্বারপ্রান্তে বিচার বিভাগ।

Advertisement

পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা, ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে প্রচলিত দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটবে এবং বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে আপিল বিভাগের গণমাধ্যম বিষয়ক কর্মকর্তার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। গত ১২ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া অভিষেক বক্তব্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

Advertisement

এরই অংশ হিসেবে গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

পরবর্তীতে গত ১০ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির ৩ জন কর্মকর্তা সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রস্তাবিত বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এর বিভিন্ন কৌশলগত বিষয় সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। এর ফলে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের বিষয়টি পুনরায় বেগবান হয়।

সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক পাঠানো প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাইক্রমে রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ করার জন্য একটি ‘জুডিসিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে উক্ত কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যা হবে ১০ জন। প্রধান বিচারপতি উক্ত কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হবেন।

এছাড়া, উক্ত কাউন্সিলের সদস্যরা হবেন, যথাক্রমে, আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম জ্যেষ্ঠ বিচারক, আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম জ্যেষ্ঠ বিচারক, অধস্তন আদালত এর বিচারক হতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এরূপ বিচারকগদের মধ্য থেকে কর্মে প্রবীণতম জ্যেষ্ঠ বিচারক, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি-জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আইনের অধ্যাপক এবং দুইজন নাগরিক প্রতিনিধি।

Advertisement

এফএইচ/এসআইটি/জিকেএস