চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৭ জন৷ প্রথমে জাহাজ থেকে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Advertisement
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে মরদেহগুলো। এমন হত্যাকাণ্ড আগে দেখেনি কেউ। মরদেহ চিহ্নিত করতে হাসপাতালে স্বজনরা ভিড় করেছেন। তাদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। ডাকাত নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিয়ে এখনো রয়েছে ধুম্রজাল।
নিহত আমিনুল মুন্সির ভগ্নিপতি এনায়েত হোসেন তুষার বলেন, জাহাজে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারি। প্রথমে এই খবর বিশ্বাস হচ্ছিল না। সকালে হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। তা না হলে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হতো না। যদি ডাকাতরা এই কাজ করতো, মানিব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করতো। আমাদের দাবি, দ্রুত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক যাতে দেশে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
Advertisement
শেখ সবুজের ছোট ভাই রেজাউল করিম বলেন, গতকাল বিকেলের পর খবর আসে বড় ভাই এবং মামা জাহাজে খুন হয়েছেন। রাতেই ফরিদপুর থেকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে আসি। পরে মরদেহ দেখে শনাক্ত করি। মরদেহ দেখে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মরদেহ পরিবার কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল বলেন, তদন্ত ছাড়া এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার রেশ ধরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এরইমধ্যে আমাদের টিম কাজ শুরু করেছে। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ মামলা করবে। যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আনা হবে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর মেঘনা নদীতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এম়ভি আল বাখেরা লাইটার জাহাজের ৭ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
Advertisement
শরীফুল ইসলাম/এফএ/জিকেএস