দেশজুড়ে

প্রকল্পের জনবল দিয়ে চলছে ভেটেরিনারি হাসপাতাল

প্রকল্পের জনবল দিয়েই চলছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। এ হাসপাতালের ৯ পদের আটটিই শূন্য। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে ভেটেরিনারি সার্জন নেই, উপ-সহকারী সম্প্রসারণ, কৃত্রিম প্রজনন, প্রাণী স্বাস্থ্য, লাইভ স্টক এ্যাসিস্টেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য। শুধু (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রকল্পের কিছু জনবল দিয়েই চলছে এ হাসপাতাল। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন পশু লালন-পালনকারী বা খামারি সেবা নিতে হাসপাতালে আসেন।

সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। চালুর এক দশক পরও সেবার মান বাড়েনি এ হাসপাতালে। অবহেলিত পশু হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদায়ন হলেও অল্পদিনের ব্যবধানে তারা অন্যত্র চলে যান।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মিন্টু মল্লিক বলেন, লোকবল কম থাকায় ভালো সেবা পাই না। আবার অনেক সময় অসুস্থ গরু-ছাগল নিয়ে এসে ডাক্তারের জন্য বসে থাকতে হয়। লোকবল বেশি হলে আমরা উপকৃত হবেন।

Advertisement

প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত লাইভ স্টক সার্ভিস প্রোভাইডার রিয়াজ মণ্ডল বলেন, এখানে শুধু একজন কর্মকর্তা। আর সবগুলো পদ শূন্য। তবে প্রকল্পের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. মমতাজুল হকের পরামর্শে চিকিৎসা দেন। রোগীর চাপ বেশি থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

হাসপাতালে প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. মমতাজুল হক বলেন, হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ভেটেরিনারি সার্জনের পদ শূন্য থাকায় প্রকল্পের নিবন্ধনকারী চিকিৎসক হিসাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। অসুস্থ প্রাণীর চাপ বেশি থাকায় তার একার পক্ষে সেবা দিতে কষ্টকর হয়ে যায়। অনেক সময় বড় প্রাণীদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। তখন হাসপাতাল ফাঁকা থাকে। হাসপাতালে দুই থেকে তিনজন ভেটেরিনারি সার্জন থাকলে উপজেলাবাসীসহ তাদের সবার জন্য ভাল হতো।

কালুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও আমি একাই এখানে কর্মরত। বাকি পদগুলো শূন্য। ভেটেরিনারি সার্জনসহ অন্য পদগুলো শূন্য থাকায় প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে সাময়িক সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, জেলায় প্রাণিসম্পদের খামার, লালন-পালনকারী ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় জনবল সংকট রয়েছে। এর মধ্যে কালুখালীতে একটু বেশি। কিছুদিন আগে ঢাকা বিভাগের পরিচালক পরিদর্শন করে গেছেন। আশা করছি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।

Advertisement

রুবেলুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম