খাগড়াছড়ির মেয়ে তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি (২১)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিনের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে তাহমিনা আক্তারের বাড়ি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ছুটে এসেছেন আলিম উদ্দিন।
Advertisement
গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মাটিরাঙ্গার বেলছড়িতে আসেন আলিম উদ্দিন। পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ব্যবসায় শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আলিম উদ্দিন (২৮) পাকিস্তানের লাহোর সিটির বাসিন্দা। তিনি দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
Advertisement
তাহমিনার বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে তাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়। পরে ২২ ডিসেম্বর বেলছড়ি নিজ গ্রামে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়। আমার মেয়ে তার স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যাবে। এজন্য পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ চলছে। ততদিন পর্যন্ত তারা এখানেই থাকবে। দোয়া করি তারা যেন সুখী হয়।’
পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন বলেন, ‘৮ মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমার পরিবার বিষয়টি অবগত। পরিবারের সম্মতিতেই আমরা বিয়ে করেছি। আমি অল্প কিছু বাংলা বলতে ও বুঝতে পারি। তাহমিনা আমাকে তা শিখিয়েছে।’
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, পাকিস্তানি নাগরিক প্রেমের টানে মাটিরাঙ্গায় এসেছেন। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সেজন্য আমরা তার ওপর নজর রাখছি।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসআর/এমএস
Advertisement