বড়দিন মানেই কেক, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজের উপহার। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ঘটা করে পালন করা হয় এই দিবস। পাশ্চাত্য দেশ সহ সব শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে ছোট-বড় রেস্তোরাঁ কিংবা ক্যাফে, শপিং মল সবই সেজে উঠেছে বড়দিনের জন্য। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়েছে বড়দিনের উৎসবের আমেজ।
Advertisement
বড়দিন নিয়ে থাকে নানা আয়োজন। আগের রাতে বাচ্চারা বাড়ির বাইরে বা জানালায় মোজা ঝুলিয়ে রেখে ঘুমাতে যায়। অনেকেই মনে করেন এই মোজার ভেতরেই রাতে সান্তা ক্লজ এসে উপহার রেখে যাবে।
এই মোজা ঝুলিয়ে রাখার প্রচলন হয়েছে কয়েকশ বছর আগেই। আনুমানিক চতুর্থ শতাব্দীতে তুরস্কে সেন্ট নিকোলাস নামে এক অত্যন্ত দয়ালু ব্যক্তি বাস করতেন। গরীবদের সাহায্য করতেন তিনি, এমনকি গোপনে রেখে আসতেন তাদের জন্য উপহারও। জানা যায় ওই দেশেই এক ব্যক্তি তার তিন মেয়ের বিয়ে দিতে অক্ষম ছিলেন। নিকোলাসের কানে আসা মাত্রই সে ওই বাড়িতে গিয়ে ঝুলিয়ে রাখা মজার মধ্যে সোনা ভরা থলি রেখে আসেন। ঘটনাচক্রে ওই দিন ওই গরীবদের বাড়িতে বেশ কিছু লাল রঙের ভিজে মোজা শুকাতে দেওয়া ছিল চিমনির ওপর আগুনের তাপে। নিকোলাস সেই মোজাতেই সোনা ভরে রেখে এসেছিলেন।
সোনা দেওয়ার সময়ে শেষবার সেই ব্যক্তি নিকোলাসকে দেখে ফেলেছিলেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন সবার আড়ালে নিঃস্বার্থভাবে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে। তাই সাহায্যের কথা কাউকে জানাতে নিষেধ করে দেন। তাও বিষয়টি চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর থেকে কেউ কোনো গোপন উপহার পেলেই মনে করতেন, বোধ হয় নিকোলাস দিয়েছেন। সেই থেকেই সেন্ট নিকোলাসকে ডাকা হতো সান্তা ক্লজ। ছোটরা মনে করতো হরিণে চাপা স্লেজ গাড়ি করে শান্তা ক্লজ এসে মোজার ভেতরে উপহার রেখে যাবে সবার জন্য। সেই জন্য আজও বড়দিনের আগের রাতে মোজা ঝুলিয়ে রাখা হয় সান্তা ক্লজের অপেক্ষায়।
Advertisement
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
কেএসকে/এএসএম