৩২ বছর পর ঢাকায় হকি উৎসব বসেছিল ২০১৭ সালে। এশিয়ার সেরা ৮ দলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের মঞ্চ ছিল মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম। ১৯৮৫ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজন করতে বাংলাদেশকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়েছিল তার অন্যতম ছিল স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যায় করেছিল ফ্লাডলাইট স্থাপনে।
Advertisement
৭ বছর যেতে না যেতেই মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের সেই ফ্লাডলাইট আলো দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ ঠিকঠাকমতো চলছে না এই লাইট। যে কারণে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি তাদের মাঠের শুরুটা আলোয় উদ্ভাসিত টার্ফে করতে চাইলেও পারছে না।
লম্বা একটা সময় বিরতি দিয়ে সোমবার হকির স্টিক-বলের কারুকাজ দেখা যাছে ভাসানীর নীলটার্ফে। নতুন যাত্রাটা আলোর মাঠে করতে চেয়েছিল ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি। দিনের আলোর সঙ্গে রাতের ফ্লাডলাইট মিলিয়ে টুর্নামেন্ট চালাতে চেয়েছিলেন তারা।
‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল এই টুর্নামেন্ট দিনে ও রাতে করবো। আমরা সেভাবেই খেলার ফিকশ্চার তৈরি করেছিলাম। এখন দেখবেন ফিকশ্চারের ওপরে লেখা আছে সংশোধিত। দিন-রাতে খেলা আয়োজন করতে পারছি না কারণ, দেখা গেছে ফ্লাডলাইটের কিছু বাল্ব ও লাইনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এটা ঠিক করা সম্ভব না। তাই আমরা সব ম্যাচ দিনে নিয়ে এসেছি। রাতে ফ্লাডলাইটে খেলা হলে আকর্ষণ বাড়ে। বহুদিন হকি মাঠে কোনো আকর্ষণ নেই। ওই আকর্ষণ তৈরির জন্যই আমরা চেষ্টা করেছিলাম ফ্লাডলাইটে খেলা চালাতে’- বলেছেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল রিয়াজুল হাসান (অব.)।
Advertisement
কবে নাগাদ ফ্লাডলাইট চালু হতে পারে? এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ক্রীড়া পরিষদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা চেষ্টা করবেন বড় কোনো সমস্যা না থাকলে জানুয়ারির মধ্যেই ঠিক করে দেবেন।’
আরআই/আইএইচএস/