যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র মজুত স্থাপনা এবং একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সাইটসহ বেশ কিছু লক্ষ্যে হামলা চালানো হয়। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, হুথিদের কার্যক্রম ব্যাহত এবং তাদের হামলা প্রতিহত করতেই ওই অভিযান চালানো হয়। এদিকে এক সিনিয়র হুথি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হুথি সংগঠনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ আলি আল-হুথি বলেন, আমেরিকার সন্ত্রাসী হামলা এই অঞ্চলে অনাচার এবং অপরাধপ্রবণতা আরও বাড়াচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ইয়েমেনে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হলেও গাজার প্রতি আমাদের সমর্থন বন্ধ হবে না।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে সেন্টকম সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, এর আগে লোহিত সাগর, বাব আল মান্দেব এবং এডেন উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা।
Advertisement
অপরদিকে বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে হুথিদের বিভিন্ন টার্গেটে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সানার কাছে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়।
এর আগে ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যদিও সেটি ভূ-পাতিত করার দাবি করছে তেল-আবিব। ইয়েমেনে হামলার পর হুথি নেতাদেরও সতর্ক করা হয়। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। মূলত গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: অ্যামনেস্টি গাজায় ১৭ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েলইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনে হুথিদের স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সানায় বন্দর ও জ্বালানি অবকাঠামো।
টিটিএন
Advertisement