এভাবে আর কতদিন চলবে!
Advertisement
ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব সামনে আসলেই ভক্তদের মুখ থেকে অনায়াসেই এমন বাক্য বেরিয়ে যায়। যেখানে এই ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের থাকার কথা প্রবল আগ্রহ, সেখানে তারাই হচ্ছেন বিরক্ত। যার জন্য দায়ী সরাসরি ভারত-পাকিস্তানই।
আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক ভারত ও পাকিস্তানের কোনোটি হলেই শুরু হয় বিড়ম্বনা। কোনোভাবেই পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে চায় না ভারত। যার সর্বশেষ উদাহরণ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। বহু চেষ্টা করেও ভারতকে খেলতে যেতে রাজি করাতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সমঝোতার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, হাইব্রিড মডেলে হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আয়োজক হিসেবে থাকবে পাকিস্তানই। তবে ভারতের সবগুলো ম্যাচ হবে আরব আমিরাতে। অচলাস্থা কেটে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হয় ভেন্যু।
Advertisement
ভারতের একঘেয়েমির কারণে কঠিন হয়েছে পাকিস্তানও। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও এবার পিসিবি জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসির কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। অর্থাৎ এই সময়ে ভারতের মাটিতে হওয়া টুর্নামেন্টগুলোও হবে হাইব্রিড মডেলে।
দুই দেশের এই দ্বন্দ্ব ক্রিকেটীয় চেতনার সঙ্গেও বেমানান। আবার আইসিসি যে সমাধান দিয়েছে, তাও ক্ষণস্থায়ী। চলমান এই দ্বন্দ্বের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন অনুভব করছেন ক্রিকেটভক্তরা।
এর জন্য একটি সমাধান দিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ। তিনি ধারণা দেন, দুই দেশের সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম হবে। যে স্টেডিয়ামের একটি গেট থাকবে পাকিস্তানে। অন্যটি ভারতে।
একটি পডকাস্টে শেহজাদ বলেন, ‘সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করুন। একটি গেট ভারতের দিক থেকে খুলবে। তাদের খেলোয়াড়েরা সেই গেট দিয়ে মাঠে আসবে। আমাদের খেলোয়াড়েরা যাবে এদিক (পাকিস্তানের দিকের গেট) দিয়ে।’
Advertisement
শুধু সমাধান দিয়েই থামেননি শেহজাদ। কৌশলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও ভারত সরকারের সমালোচনাও করেছেন। অনেকটা খোঁচা মেরে শেহজাদ বলেন, ‘আমার মনে হয় এরপরও বিসিসিআই ও ভারত সরকার ঝামেলা করবে। তারা বলবে, তোমাদের (পাকিস্তান) খেলোয়াড়েরা যখন মাঠে আমাদের প্রান্তে আসবে, আমরা তাদের ভিসা দেবো না।’
এমএইচ/এমএস