দেশজুড়ে

সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলাকারী সাদপন্থিদের শাস্তি, যশোর মার্কাজ মসজিদসহ সব মসজিদে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং সব কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যশোর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করা হয়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের কাছে স্মারকলিপি দেন যশোর জেলার ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের শুরায়ি নেজামের সাথিরা।

যশোর ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের শুরায়ি নেজামের সাথি আব্দুল মান্নান, রুহুল আমিন ও আবু যর বলেন, যশোরে সাদপন্থিরা মার্কাজ মসজিদের পার্শ্ববর্তী অবৈধভাবে দখলকৃত ভবন রয়েছে। তাদের মার্কাজ মাদরাসার মধ্যে লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জমা করতে দেখা গেছে এবং সে রাতেই তারা এগুলো সঙ্গে নিয়ে টঙ্গী ময়দানে যান। এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের ও হামলার ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যশোরের মার্কাজ মসজিদসহ সব মসজিদে এই সন্ত্রাসী জামাতকে (সাদপন্থি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। তারা আরও জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) গভীর রাতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে বিতর্কিত মাওলানা সাদ অনুসারীদের শুরায়ি নেজামের ঘুমন্ত সাথিদের প্রতি অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা, নির্মম হত্যাকাণ্ড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারপিট, খুন ও জখমের ভয়াবহ চিত্র দেশবাসীর সামনে পরিষ্কার হয়েছে। ইতোপূর্বে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরে তারা এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এজন্য তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং যশোর জেলা মার্কাজ ও মাদরাসাসহ প্রতিটি মসজিদে তাদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি।

যশোরে তবলিগ জামাতের (সাদপন্থি) শুরা সদস্য এসএম ইয়ামিন রহমান বলেন, পুরাতন কসবার সইদুল ইসলাম মার্কাজের পার্শ্ববর্তী ভবনের জমি দান করেন এবং এ জমিতে ভবন নির্মাণের অর্থায়ন করেন মিড টাউনের মালিক ওবায়দুল হক। এটা সাদপন্থিদের নিজস্ব ভবন, এটা অবৈধ বা দখলকৃত জায়গা নয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, জোবায়েরপন্থিরা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্ভট কথা বলছে। আমরা নয়, বরং জোবায়েরপন্থি সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, অস্ত্র নিয়ে টঙ্গী মাঠ দখল করে রাখে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। সেখানে কথা বলে সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

মিলন রহমান/এফএ/এমএমএআর/এমএস