বিনোদন

আমি বসলেও তিনি ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন, হাসান আরিফকে নিয়ে ফারুকী

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ (৮৩) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ফারুকী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘উপদেষ্টা হাসান আরিফ ভাইয়ের আকস্মিক প্রয়াণে শোকাহত। আমার সাথে উনার আলাপ অল্প কয়েক দিনের। মূলত ক্যাবিনেট মিটিংয়ের আগে-পরে উনার হাসিমুখই মনে পড়ছে। আর মনে পড়ছে এনডিসি প্রোগ্রামে ফিল্ম-অভিনয় এসব নিয়ে আলাপ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘শেষ যেটা মনে পড়ছে- এবারের বিজয় দিবসে একসাথে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা। এক সময় ক্লান্ত হয়ে আমি দেয়ালে বসলেও উনি ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। এটা নিয়ে একটু হাসি তামাশাও করেছিলেন। আপনার হাসিমুখটাই আমার মনে থাকবে, আরিফ ভাই।’

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।

Advertisement

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওইদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে সরকার। ওইদিন ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে রাখা হলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আট নির্মাতার খোঁজে ফারুকীর সার্চ কমিটি ‘পাবলিক চায় ডেমোক্রেসি, ওদের রুচি খারাপ’, ট্রেলারে ফারুকীর বার্তা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।

এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।

এমএমএফ/আরএমডি/এএসএম