দেশজুড়ে

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। বুধবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জের নলতা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতার মিজানুর রহমান কালীগঞ্জের পূর্ব তেতুলিয়া ঈদগাঁওপাড়ার মোসলেম উদ্দিন গাজীর ছেলে।

পিবিআই যশোর সূত্রে জানা যায়, রেকসোনা বেগম নামে এক নারী প্রতারিত হয়ে পিবিআই বরাবর অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য এসআই (নি.) মো. হাসানুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে বাদীর অভিযোগ সংক্রান্তে মিজানুর রহমান (৪২) ও তার স্ত্রী তানিয়া সুলতানার (৩৩) ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর মিজানকে গ্রেফতার করে শার্শা থানায় মামলা দেওয়া হয়।

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর রহমান পিবিআইকে জানান, তিনি ও তার স্ত্রী তানিয়া সুলতানা প্রায় ৯ মাস আগে শার্শায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এসময় মিজানুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করে মর্মে এলাকায় প্রচার করেন। এলাকাবাসীর বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য সামাজিক অনুষ্ঠানসহ গরু, ছাগল, হাঁস মুরগি প্রতিপালন করতেন। গত কুরবানির ঈদে একাই গরু কুরবানি দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে তার।

পরে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী তানিয়া সুলতানা এলাকায় প্রচার করেন যে, তারা শতকরা ৩ টাকা মুনাফা হারে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। এজন্য এক লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা ও ঋণ গ্রহীতা তার ব্যাংক হিসাবের ২-৩টি চেক দিতে হবে। এরপর মামলার বাদীসহ এলাকার আরও ১৩ জন এতে রাজী হয়ে ঋণ গ্রহণের জন্য তাদের ব্যাংক হিসাবের মোট ৪৭টি সই করা ব্ল্যাংক চেক দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেকে মিজানুর রহমানের ব্যাংক হিসাবে ও নগদে বিভিন্ন সময়ে নয় লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন।

এসময় মিজানুর রহমান এক মাসের মধ্যে ঋণ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করেন। পরে ৩০ আগস্ট রাতে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান মিজান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাসানুজ্জামান জানান, মিজানুর রহমান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার স্ত্রী তানিয়া সুলতানাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

এইচআরএম/জেডএইচ/জিকেএস