পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক রাখাইনের সাড়ে ৭ একর জমির প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আলী আক্কাসের বিরুদ্ধে।
Advertisement
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিচারের দাবিতে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই রাখাইন।
অভিযোগ করে তিনি জানান, আমার বাবার কাছ থেকে পাওয়া এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কেনা ৭.১৮ একর সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। ২০২২ সালে বিএনপি নেতা কুপরামর্শ দিয়ে আমার ভাইয়ের দারা সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করে একটি মিথ্যা মামলা করে। পরে ৫ আগস্টের পরে এ ভূমিদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আচমকা গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আমার জমিতে বর্গাচাষি ধান কাটা শুরু করলে ওই যুবদল নেতা ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী টিম নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিয়ে সব ধান লুটে নিয়ে যায়।
লিখিত বক্তব্য লুমা রাখাইন বলেন, বাবা জীবিত থাকাকালে পুরো সম্পত্তি স্থানীয় মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করে। তবে কোনো রেজিস্ট্রি হয়নি তার আগে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করে। আমার কোনো সম্পত্তি না থাকায় বাবার নেওয়া পুরো টাকা মংফরম তালুকদারকে ফেরত দিয়ে পুরো সম্পত্তি ফেরত আনি। বিষয়টি কলাপাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে অ্যাফিডেভিট করে নিয়ে আসি ২০০৪ সালে। পরে এ সম্পত্তির বিএস আমার নামে এবং খাজনা দিয়ে আসছি নিয়মিত। আমার বাবার আর এক ছেলে থাকায় আমার ভাই এমংচি ওরফে ইয়াইমংচিং প্রায় ৪৫ বছর বারমা থাকার পরে ২০১০ সালে দেশে ফিরে আসলে তার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দাবি করলে আমি তার পাওনা ২.৪০ একর সম্পত্তি ফেরত দেই। পরে আবার আমার ভাই তার সেই ২.৪০ একর সম্পত্তি আমার কাছে বিক্রি করে।
Advertisement
তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আলী আক্কাস বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার বিরুদ্ধে বিএনপির লোকজন ষড়যন্ত্র করছে। আমরা কখনো এ সম্পত্তি ভোগদখল করিনি। আর ধান লুটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে মহিপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, অভিযোগ সত্যি হলে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাস বা লুট কারীদের জায়গা বিএনপিতে নেই।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement