গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার পর মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন।
Advertisement
এ সময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজন আহতও হন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিন্দা জানাচ্ছেন। তাবলিগকেই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। মো. আদনান সিকদার লিখেছেন, ‘এজতেমা সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা হোক। সাদ ও যোবায়ের পন্থিদের নিষিদ্ধ করা হোক।’
হাকিম মাহি লিখেছেন, ‘যারা ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তারা ধার্মিক নয়। তারা লেবাসধারী ধর্ম ব্যবসায়ী, দেশ ও মানবতার শত্রু। ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। সারা পৃথিবীর শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্টকারী মূলত এরাই।’
Advertisement
শামস সাঈদ লিখেছেন, ‘তাবলিগ নিয়ে একটা গল্প শুনছিলাম, সত্য-মিথ্যা জানি না, একবার নাকি আমেরিকায় তাবলিগ গেছে দাওয়াতি কাজে। তা দেখে গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হলো। এরা কারা, এদের কাজ কী! পরে গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের কাছে রিপোর্ট দিলো, তাবলিগ নিয়ে বিশেষ ভাবনার কিছু নেই। কারণ এরা মাটির নিচের আর আসমানের কথা বলে। দুনিয়ার কোনো কথা তারা বলে না। তাবলিগে যখনই দুনিয়া চলে এলো; তখনই মারামারি আর গ্রুপিং শুরু হলো।’
আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘দুই গ্রুপকে এক হওয়ার শর্ত দিয়ে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা আপাতত বন্ধ করে দিন। অন্যথায় কারবালার চেয়েও বড় কিছু ঘটবে বলে আশঙ্কা হচ্ছে।’
মো. নূরে আলম লিখেছেন, ‘আপনারা যদি এমন করতে থাকেন তাহলে বাংলাদেশে ইসলাম থাকবে, বাঙালি মুলসমান থাকবে। থাকবে না শুধু তাবলিগ জামাতের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা।’
মানিক মোহাম্মদ ওমর লিখেছেন, ‘ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তারা তো মানুষই না, ধার্মিক তো পরের বিষয়। তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’
Advertisement
রিয়াজ উদ্দিন লিখেছেন, ‘ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়া হোক। মসজিদের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক দাওয়াতি কাজ চলুক।’
এসইউ/জেআইএম