সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাত নম্বরে নেমে ১৩ বলে ২৭ রান শামীম হোসেনের। বাংলাদেশের জয় ৭ রানে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আট নম্বরে নেমে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রান। বাংলাদেশের জয় ২৭ রানে। অর্থাৎ দুটি জয়েই শামীমের অবদান স্পষ্ট।
Advertisement
একজন কার্যকর ও আদর্শ ফিনিশার যেভাবে খেলেন, সেই খেলাটাই খেলেছেন শামীম। দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁহাতি ব্যাটারের অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতি মিলেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার মাধ্যমে।
১৭ বলে ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা হন শামীম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত।
আজ বুধবার সেন্ট ভিনসেন্টে ১৬ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৬ উইকেটে ৮৬ রান। সেখান থেকে বাংলাদেশ টেনে নেন শামীম। অষ্টম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৪১ রানের অপরাজিত জুটি। এতে লড়াই করার মতো একটি পুঁজিও পায় বাংলাদেশ।
Advertisement
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সামনে ছোট একটি সাক্ষাৎকার দেন শামীম। দারুণ দুটি ইনিংস কাউকে উৎসর্গ করতে চান কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উৎসর্গ করার কিছু নেই। ভালো খেলেছি এজন্য ভালো লাগছে। আমিও খুশি, পুরো দেশ খুশি। এটাই ভালো লাগছে।’
শামীম যখন মাঠে নামেন, তখন দল অনেক চাপে। টপঅর্ডার-মিডলঅর্ডারটা টিকে খেলতে পারেননি। কঠিন মুহূর্তে শামীম কীভাবে ভালো খেললেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার সব সময় চিন্তা থাকে দল যেরকমই থাকুক, আমি যদি খেলতে পারি, তাহলে দল অনেক উপরে চলে যাবে। আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করি।’
গেল জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ভিনসেন্টেই ৩টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্কোয়াডে ছিলেন না শামীম। এবার খেলতে এসে সেই স্মৃতি মনে পড়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে শামীম বলেন, ‘আগেই মনে পড়েছে। কিন্তু যেটা চলে গেছে, সেটা বলে লাভ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে আমরা সিরিজ জিতেছি, এটাই অনেক বড় পাওয়া।’
শামীমের ভালো খেলার পেছনের অনুপ্রেরণা কী? জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে যতগুলো ম্যাচ খেলেছে- এইচপি দল, ইমার্জিং টিম ভালো খেলেছি। এতে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ভেবেছি, সুযোগ পেয়ে ভালো খেলবো ইনশাআল্লাহ।’
Advertisement
প্রায় এক বছর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে ছিলেন শামীম। এই সিরিজের আগে সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে।
কেন আসলে দল থেকে বাদ পড়লেন, এমন প্রশ্নে শামীম বলেন, ‘আমি ওগুলো নিয়ে চিন্তা করি না। ইতিবাচক মাইন্ডসেট নিয়ে চলাফেরার চেষ্টা করি। খুশি থাকতে পছন্দ করি। আমি জানি যে, যেকোনো সময় কামব্যাক করবো।’
এমএইচ/জিকেএস