দেশজুড়ে

ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ।

Advertisement

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথ টঙ্গী মুন্নু টেক্সটাইল মিল গেট ও কামারপাড়া মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া টঙ্গীর স্টেশন রোড, বাটা গেট এলাকাতেও রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ।

ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশি নিবাসের কাছে সাদ সমর্থিত মুসল্লিরা অবস্থান করছেন। তারা মূলত এসেছেন পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে। তাদের হাতে লম্বা বাঁশের লাঠি রয়েছে। তারা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ময়দানের আশপাশে জুবায়েরপন্থিদের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩ উত্তরা ও তুরাগ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ইজতেমা মাঠ ছাড়বেন সাদপন্থিরা, মাঠের দায়িত্ব নেবে সরকার

এরমধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় জুবায়েরপন্থিরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ময়দানে অবস্থানরত সাদ সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন। তারা জুবায়েরপন্থিদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

Advertisement

এসময় জুবায়েরপন্থিদের কয়েকজন মুসল্লি আহত হন। তাদের টঙ্গী শহীদ আহসানুল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন- শামীম আহমেদ (৪০), ডালিম (৭০), মাসুদ (২১) ও জহিরুল ইসলাম (২৯)।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।

এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তারা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। নিহতরা সবাই তাবলিগ জামাতের।

Advertisement

মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/জেআইএম