শিক্ষা

স্কুলে ভর্তি চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার টাকা

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে মেধাতালিকা, প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

Advertisement

এ ফলাফলের তালিকা ও ভর্তি নির্দেশনা মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী- মেধাতালিকায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ৬ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে এরপর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি নেওয়া যাবে। তারপরও আসন ফাঁকা থাকলে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে আসন পূরণ করতে হবে।

ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ

দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা।

Advertisement

অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা।

তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে কোনোভাবেই পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।

ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব তথ্য যাচাই জরুরি

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়ার সময় কিছু বিষয় অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। সেগুলো হলো-

• ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড অপশনটি ক্লিক করার পর তার প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

সরকারি স্কুলে মেধাতালিকায় ৯৮২০৫ জন, বেসরকারিতে ২ লাখ ৭ হাজার পৌনে ১০ লাখ শিক্ষার্থীর লটারির তারিখ ও স্থান জানালো মাউশি জানুয়ারিতে সব শ্রেণির নতুন বই দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে বইয়ের শেষ পাতায় জাতীয় সংগীত-পতাকা, কারণ জানেন না কেউ!

• ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন।

• লিংকে তথ্য টাইপ করে সাবমিট করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তা জানা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে।

• সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে ও নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবেন।

• ভর্তির সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালে শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।

• তথ্য সঠিক না দেওয়ার মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।

• শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময় এই কোটাগুলো নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা–সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।

• নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।

• তারপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

• ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো কারণে আসন শূন্য হলে বছরের কোনো সময়েই ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে এই শূন্য আসনে ভর্তি করানো যাবে না।

• ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসনের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে মাউশি অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত ১১ নভেম্বরের জারি করা চিঠির আলোকে এই শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবেন।

• সর্বোপরি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

• উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তী সময়ে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান দায়ী থাকবেন।

এএএইচ/ইএ