জাতীয়

নিলাম অযোগ্য ২৩৫০ টন পণ্য ধ্বংস করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ২ হাজার ৩৫০ টন পণ্য ধ্বংস করছে কাস্টমস। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন চট্টগ্রাম বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পেছনের খালি জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে বলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ধ্বংস তালিকার পণ্যের মধ্যে হিমায়িত চিংড়ি, আদা, প্রাণী খাদ্য, হিমায়িত মাংস, মাছ ও মুরগির খাদ্য রয়েছে।

Advertisement

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে বন্দরে বিভিন্ন সময়ে আমদানিকৃত পণ্য নানা কারণে খালাস না হওয়ায় তা নিলামে তোলা হয়। নিলামেও বিক্রি না হওয়ায় তা ধ্বংস করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আবার খালাস অযোগ্য কয়েকটি পণ্যও ধ্বংস করা হবে। এরমধ্যে ১১১টি কনটেইনারে থাকা হিমায়িত পণ্য, মাছ-মুরগির খাদ্য এবং ফল রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে পণ্যগুলো ধ্বংস করার মাধ্যমে বন্দরের কনটেইনার জট কমানো হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ধ্বংস কার্যক্রমের জন্য ক্রেন, এস্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলে মাটিচাপা দেওয়া হবে। ব

ন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে এসব কনটেইনারের জন্য জট লেগে যায়। নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসে স্থায়ীভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা উচিত।

Advertisement

আরও পড়ুন:

নিলামে দুই বছরে আড়াইশ কোটি টাকা আয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের দুই কোটি টাকার রসুন নিয়ে বিপাকে চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলামে বিক্রি হবে ১০ কোটি টাকার আপেল-কমলা

নিয়ম অনুযায়ী, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কনটেইনার পড়ে থাকে।

অন্যদিকে, আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কনটেইনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কনটেইনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এসব কনটেইনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এসব কনটেইনার বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।

এমডিআইএইচ/এসএনআর/এমএস

Advertisement