দেশজুড়ে

যশোরে যুবদল-বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া কেশবপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় এ বহিষ্কারের কথা।

Advertisement

জেলা বিএনপি ও যুবদল সূত্রে জানা গেছে, এসকেন্দার আলী জনি দীর্ঘদিন ধরে নিজের ফেসবুক আইডিতে জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে নিয়ে আপত্তিকর তথ্য উপস্থাপন করতেন। সম্প্রতি জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদককে ইঙ্গিত করে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকাতে তারা সম্পদ গড়েছেন এমন পোস্ট করেন জনি।

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করতেন জনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবুর সুপারিশে কেন্দ্রীয় যুবদল এ সিদ্ধান্ত নেয়।

অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা জনির মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মঙ্গলবার রাতে তিনি ফেসবুকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট করেন।

Advertisement

অপরদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মঞ্জুরের সমর্থক ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নেই। কেন্দ্রীয় নির্দেশনাই রয়েছে বিএনপির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কোনো ব্যক্তি যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন রহমান/জেডএইচ/এমএস

Advertisement