পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের বিপদাপন্ন হাতি সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার জন্য নর্ডিক দেশগুলোর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশের নদীগুলো পরিষ্কার রাখা মন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে নর্ডিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন এবং ডেনমার্কের উপমিশন প্রধান অ্যান্ডারস কার্লসেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান টেকসই সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় নর্ডিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান জানান। তিনি প্লাস্টিক ও শব্দদূষণ ব্যবস্থাপনার প্রচারণায় যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার সম্পর্কে উল্লেখ করেন এবং এই প্রচারণা কার্যক্রম জোরদারে নর্ডিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
নর্ডিক রাষ্ট্রদূতরা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নদীদূষণ প্রতিরোধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
Advertisement
ডেনমার্কের উপমিশন প্রধান অ্যান্ডারস কার্লসেন কক্সবাজারে একটি অফশোর উইন্ড ফার্ম প্রতিষ্ঠায় ১.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। অন্যদিকে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বাংলাদেশে ‘মেরিন লিটার প্রিভেনশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে নরওয়ের সহায়তা প্রদান এবং টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও সামুদ্রিক বর্জ্য প্রতিরোধে একীভূত উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক ডে উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নর্ডিক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান অংশীদারত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও নর্ডিক দেশগুলোর দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নর্ডিক দেশগুলো নর্ডিকস বা নর্ডেন নামেও পরিচিত। উত্তর ইউরোপ এবং উত্তর আটলান্টিকের ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক অঞ্চল। এতে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনের ,মতো সার্বভৌম রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত। ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ এবং গ্রীনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং আল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলও এর অন্তর্ভুক্ত।
Advertisement
আরএএস/এসএনআর/এমএস