আইন-আদালত

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নদীসহ চারজন কারাগারে

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শামসুন্নাহার হল শাখার সাবেক সভাপতি নিশিতা ইকবাল নদীসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল ফাতারা কাজল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবির শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী শোভন রহমান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী হাসান ইমাম শোভন।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।আরও পড়ুন

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নদীসহ চারজন রিমান্ডে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি, বুয়েটে বিক্ষোভ দুই দিনের রিমান্ডে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা

এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি। পরদিন রোববার (১৫ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর কলাবাগান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

Advertisement

আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় আল বারাকা রেস্তোরাঁর সামনে থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জন আসামি অংশ নেন। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা আরও বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছে। তাদের পেছনে কারা আছে। অর্থের জোগানদাতা, পরিকল্পনাকারীদের বের করার জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

এমএএস/এমএএইচ/

Advertisement