আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার রিজার্ভ প্রায় শূন্য হলেও ব্যাংকে অক্ষত ২৬ টন সোনার মজুত

ক্ষমতায় থাকাকালীন সদ্য পতন হওয়া আসাদ সরকার রাশিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলার পাচার করেছে। এরপরও সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রায় ২৬ টন সোনার মজুত অক্ষত রয়েছে। দেশটিতে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর সময়ও একই পরিমাণ সোনা রক্ষিত ছিল।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। সূত্রগুলো বলেছে, সিরিয়ায় বিপুল পরিমাণ সোনার মজুত থাকলেও, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুবই সীমিত।

সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের বরাতে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল বলেছে, ২০১১ সালের জুনে দেশটিতে সোনার মজুত ছিল ২৫ দশমিক ৮ টন। রয়টার্সের হিসাবমতে, অর্থের অঙ্কে এটি ২ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ২২০ কোটি ডলারের সমান।

আরও পড়ুন: 

Advertisement

সিরিয়াকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে দেখছে ইসরায়েল স্কুলে ফিরছে সিরিয়ার শিশুরা শিগগির আকাশসীমা চালু করবে সিরিয়া

এদিকে, সূত্রগুলোর একটি রয়টার্সকে বলেছে, নগদ অর্থে বর্তমানে সিরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলারের মতো। আরেকটি সূত্র বলেছে, রিজার্ভের পরিমাণ ‘কয়েক শ মিলিয়ন ডলার’।

গৃহযুদ্ধ শুরুর দীর্ঘ ১৩ বছর পর গত ৮ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হানা দিয়ে সিরীয় পাউন্ড হাতিয়ে নেয়। তবে তারা ব্যাংকের প্রধান ভল্ট ভাঙতে পারেনি। ফলে সোনার মজুত অক্ষত থেকে যায়। এছাড়া বিদ্রোহী যোদ্ধারা দ্রুতই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। স্থানীয় কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, চুরি যাওয়া রিজার্ভের কিছু এরইমধ্যে ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছে নতুন প্রশাসন।

আরও পড়ুন: 

সিরিয়ায় ইতিহাসের বৃহত্তম হামলা ইসরায়েলের, ধ্বংস নৌবহর সিরিয়ায় আসাদের পতনে যেভাবে লাভবান হচ্ছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর বছর ২০১১ সালের শেষ নাগাদ সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর ২০১০ সালে আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল আনুমানিক ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সিরিয়ার বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটির ডলারের রিজার্ভ প্রায় শূন্য হয়ে আসার পেছনে কারণ হলো আসাদ সরকার খাদ্য, জ্বালানি ও যুদ্ধ তৎপরতায় এখান থেকে বেহিসাবি খরচ করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সম্পর্কে সিরিয়ায় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের নেতৃত্বাধীন নতুন ক্ষমতাসীন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: রয়টার্স

Advertisement

এসএএইচ