ভ্রমণ

বছর শেষে ঘুরে আসুন ডোমখালী সমুদ্র সৈকতে

ডোমখালী সমুদ্রসৈকত বর্তমানে জনপ্রিয় এক পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে সেখানে ছুটে যানন ভ্রমণপিপাসুরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেলের শুরুতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে এই সৈকতে। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকের ভিড় আরও বাড়ে।

Advertisement

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার একেবারে দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত এই স্পটের নাম ‘ডোমখালী সমুদ্রসৈকত’। এর পশ্চিম পাশে তাকালে চোখে পড়বে শুধু পানি আর পানি। ঘাটে আছে সারি সারি ডিঙ্গি নৌকা।

জেলেরা কেউ মাছ ধরে সাগর থেকে ঘাটে ফিরছে, কেউ আবার সাগরে যাচ্ছে। কেউ পর্যটকদের নিয়ে নৌ ভ্রমণে ছুটে যাচ্ছেন। এমন নৈসর্গিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য সেখানে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু মানুষ।

আরও পড়ুন

Advertisement

ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজে গিয়ে যা দেখবেনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ বাড়ি

দেখতে অনেকটা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের এর মতো এই ডোমখালী সমুদ্রসৈকত। নতুন নির্মিত বেড়িবাঁধ জুড়ে সবুজের সমারোহ, পাখিদের কোলাহল, কিছুদূর পর পর সাগরের সঙ্গে মিশে যাওয়া ছোট ছোট খালের অবিরাম বয়ে চলা, বাঁধের পূর্বে গ্রামীণ জনপদ আর দক্ষিণে সাগরের কোল জুড়ে ম্যানগ্রোভ বন। এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে যে কেউ।

বিস্তৃত চরজুড়ে কেওড়া গাছের সমহার। আছে হরেক রকমের বৃক্ষ। পথে পথে দেখা মিলে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কোলাহলমুক্ত পরিবেশ, পাখির কলকাকলী, বিশুদ্ধ বাতাস, লাল কাঁকড়া, বনের ভেতর হরিণের আনাগোণা আর নৌকা ভ্রমণ সত্যিই অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে আপনাকে।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন ও খাবেন?

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট নেমে সিএনজি যোগে একেবারে সাগরপাড়ে যাওয়া যাবে। জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া নেবে। রিজার্ভ নেবে ২০০-৩০০ টাকা। এছাড়া নিজামপুর কলেজ নেমে সেখান থেকেও সিএনজি যোগে যাওয়া যাবে।

ডোমখালী সমুদ্রসৈকত এলাকায় থাকা ও খাওয়ার জন্য এখনো কোন রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটের গড়ে ওঠেনি। খাবারের জন্য ছোট কমলদহ বাজারের বিখ্যাত ড্রাইভার হোটেল আছে। যা ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে।

Advertisement

জেএমএস/জেআইএম