শিক্ষা

স্কুলে ভর্তি: লটারির ফল কখন, কীভাবে পাওয়া যাবে

 

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে কম্পিউটার বাটন চেপে লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

Advertisement

তবে লটারির উদ্বোধন হওয়ার পরও ফল দেখতে না পেয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। কখন ফল পাওয়া যাবে, তা জানতে উদগ্রীব তারা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, লটারির কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর এখন টেকনিক্যাল (কারিগরি) কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে ফলাফল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক জানান, দুপুর ২টায় ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

এসএমএস ও ওয়েবসাইটে ফল মিলবে যেভাবে

দুই পদ্ধতিতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা লটারির ফলাফল জানতে পারবেন। প্রথম পদ্ধতি হলো- ভর্তির লটারির জন্য প্রস্তুত করা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফলাফল দেখা যাবে।

আরও পড়ুন

স্কুলে ভর্তিতে লটারির উদ্বোধন, দুপুর ২টায় যেভাবে ফল জানা যাবে ‘‌ভর্তিতে লটারি বাদ দিলে তদবিরের যন্ত্রণায় অফিস করতে পারতাম না’ জরিমানাসহ এসএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়লো ৩ দিন

তাছাড়া টেলিটক সিম ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানতে পারবেন অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা। এসএমএস পাঠানোর পদ্ধতি: GSA স্পেস Result স্পেস User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে আবেদন কত

লটারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও তিন হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়।

Advertisement

নির্ধারিত সময়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।

আর তিন হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী- সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।

এএএইচ/ইএ